অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরাক সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ওবামার সাম্প্রতিক বক্তব্য বিচক্ষণতার দাবি রাখে: আমেনা মোহসিন।


ইরাকে সাম্প্রতিক যে উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সেই পরিস্থিতিতে , ইরাক সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইছে । তবে এ ব্যাপারে গতকাল প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরেছেন । তিনি বলেছেন যে প্রয়োজনবোধে ক্ষেত্র বিশেষে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নিতে পারে , তবে সামগ্রিক অর্থে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশ নেবে না। এ সব প্রসঙ্গ নিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ডঃ আমেনা মোহসিন কথা বলেন ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগের সঙ্গে। তিনি বলেন যে গতকাল প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরাকের বর্তমান সঙ্কটের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ও সম্পৃক্ততার যে সংক্ষিপ্ত রূপরেখা তুলে ধরেছেন , সেটি অত্যন্ত বিচক্ষণ বক্তব্য ছিলো। প্রেসিডেন্ট ওবামা যে বলেছেন সামরিক উপদেষ্টা পাঠানোর কথা সাজ সরঞ্জামের কথাও এবং যদিও সরাসরি সেখানে কম্ব্যাট ট্রুপ বা যোদ্ধৃবাহিনী পাঠানোর বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন তবু্ও প্রয়োজনবোধে তিনি লক্ষ্য স্থির করে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও নাকচ করেননি , এ সবই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র স্ট্র্যাটেজির পরিপক্ক দিক।

অধ্যাপক আমেনা মোহসিন বলেন যে উগ্রবাদীদের মোকাবিলার জন্যে ইরানের সহেযাগিতা কাম্য । শিয়া প্রধান ইরান ও সিরিয়াকে হয়ত একই মঞ্চে আনা যাবে না কিন্তু এ নিয়ে ভাববার সময় এসছে। তৃতীয় কোন পক্ষের মাধ্যমে সিরিয়াকেও এই উগ্রবাদের বিরুদ্ধে একত্রিত করা সম্ভব। বিশেষত ইরানের নের্তৃত্বের এ বিষয়ে এগিয়ে আসা উচিৎ এবং এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে যথার্থ হবে যে ইরানকে আরও ছাড় দেওয়া।

তিনি এ ব্যাপারে ও মি ওবামার বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন্ যে ইরান এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইরাকের আঞ্চলিক অখন্ডতাকে সম্মান করতে হবে। সেখানে আল ক্বায়দার শাখা ISIL একটা বড় রকমের হুমকি সৃষ্টি করে রেখেছে। তিনি এই অবস্থার জন্যে শিয়া প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকিকেও অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন যে তাঁর দূর্নীতি এবং সুন্নিদের কোনঠাসা করে রাখার কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অধ্যাপক আমেনা মোহসিন মনে করেন যে উভয় পক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসলে নিরীহ মানুষের প্রাণ রক্ষা পাবে।
XS
SM
MD
LG