অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিশরে একটি উদারপন্থি সুশীল সমাজের অভাবই পরিস্থিতিকে সঙ্কটময় করেছে: ড ইমতিয়াজ আহমেদ


মিশরে সৈন্যদের সঙ্গে অসমারিক লোকের সখ্যতা
মিশরে সৈন্যদের সঙ্গে অসমারিক লোকের সখ্যতা

মিশরের চলমান পরিস্থিতি বিষয়ে ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন যে দীর্ঘ দিন ধরে মিশরে যে উদারপন্থি সুশীল সমাজ গড়ার কোন ধরণের প্রয়াস নেওয়া হয়নি , সেটার কারণেই এখনও পশ্চিম হয়ত দ্বিধাগ্রস্থ বোধ করছে, মিশরের ব্যাপারে। তিনি বলেন যে এ কথা ঠিক যে অনেক সময় বলা হয় মিশর এবং আরব অঞ্চলের অন্যান্য দেশে স্বৈরতন্ত্র ও ধর্মতন্ত্রের মধ্যে একটা বিকল্পকে বেছে নিতে হবে তার কারণ উদারপন্থি সুশীল সমাজের অভাব। তবে সে জন্যে তিনি পশ্চিমি দেশগুলোকেও দায়ি করেন কারণ তারা উদার সিভিল সোসাইটি গঠনের ব্যাপারে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলোর ওপর কোন চাপ দেয়নি।

অধ্যাপক আহমেদ মনে করেন যে মিশরের এই গণ-আন্দোলনের প্রথম প্রেরণা এসেছে যদিও তিউনিশিয়ার বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে তবুও এখন মিশরের মতো দেশে এ ধরণের গণবিস্ফোরণ ঘটায়, কেবল মিশরে নয় , গোটা অঞ্চলেই একটা পরিবর্তন আসতে পারে। তিনি এই ধরণের পরিবর্তনের একটা ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন। অধ্যাপক আহমেদ বলেন যে ইসরাইলের সঙ্গে মিশরের এবং সামগ্রিক অর্থে আরব বিশ্বের সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবেই একটা সদর্থক পরিবর্তন আসবে , যদি সেখানে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। কারণ একটি গণবিচ্ছিন্ন সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠায় যতখানি এগিয়ে যেতে পারে , তার চেয়ে অনেক বেশি এগুতে পারে গণতান্ত্রিক সরকার।

মিশরে শেষ পর্যন্ত কি ধরণের সরকার গঠিত হবে , হোসনে মুবারক সত্যিই পদত্যাগ করবেন কী না , জাতিসংঘের সাবেক পরমাণু প্রধান এল বারাদেই নের্তৃত্ব গ্রহণ করতে পারবেন কী না , সে ব্যাপা চিত্রটা এখনও খুব পরিস্কার নয় তবে ড ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন যে নিশ্চিত ভাবেই এক ধরণের পরবর্তন আসন্ন।

XS
SM
MD
LG