অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সম্পর্কে আশাবাদের কারণ আছে: ডঃ সাঞ্চিতা সাক্সেনা


বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সম্পর্কে আশাবাদের কারণ আছে: ডঃ সাঞ্চিতা সাক্সেনা
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সম্পর্কে আশাবাদের কারণ আছে: ডঃ সাঞ্চিতা সাক্সেনা

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সম্পর্কে আশাবাদের কারণ আছে: ডঃ সাঞ্চিতা সাক্সেনা
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সম্পর্কে আশাবাদের কারণ আছে: ডঃ সাঞ্চিতা সাক্সেনা

সম্প্রতি US-Bangladesh Advisory Council-এর উদ্যোগে ওয়াশিংটন ডিসি Woodrow Wilson International Center-এ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ক্রমবিকাশের সম্ভাবনা বিষয়ে আলোচনা হয়। এই আলোচনায় মুল বক্তব্য রাখেন University of California, Berkeley’র Center for South Asia Department-এর সহযোগি পরিচালক ডঃ সাঞ্চিতা সাক্সেনা।

তিনি Garment Trade and Bangladesh শীর্ষক তাঁর গবেষণা লব্ধ এই পরিবেশনায় বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের সম্ভাবনার দিকগুলি তুলে ধরেন। ডঃ সাক্সেনা তাঁর মুল বক্তব্যে বলেন যেমনটি আশংকা করা গিয়েছিল, ২০০৫ সালের পরে এই শিল্প সমস্যার সম্মুখীণ হবে, তেমনটি ঘটেনি বরঞ্চ ভিয়েৎনামের সঙ্গে জোর প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প টিকে আছে এবং এই পোশাক শিল্পের সম্ভাবনা সম্পর্কেও তিনি আশাবাদি।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সম্পর্কে আশাবাদের কারণ আছে: ডঃ সাঞ্চিতা সাক্সেনা
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সম্পর্কে আশাবাদের কারণ আছে: ডঃ সাঞ্চিতা সাক্সেনা

সম্প্রতি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের বেতনকে কেন্দ্র করে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তা সত্বেও সাঞ্চিতা সাক্সেনা মনে করেন মূল বিষয়টা হলো বিভিন্ন গ্রুপগুলো এখন এক সঙ্গে মিলিত হচ্ছে এবং তারা একটি অভিন্ন নীতিমালা সম্পর্কে বলছে। সুতরাং আমরা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি একটা তাৎপর্যপূণর্ পরিবর্তন। কিছু অবকাঠামোগত পরিবর্তন, যেমন চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন সাধন।

ডঃ সাঞ্চতিা সাক্সেনা আরো বলেন আগে গার্মেন্টস সেক্টরের বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলো বিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করেছে। এখন তাদের মধ্যে সমন্বয় এসছে। তিনি বলছেন তারা এখন গার্মেন্টস এর উন্নয়নের বিষয়ে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী ভুমিকা রাখছে আন্তর্জাতিক এনজিও, BGMEA এবং BKMEA সমন্বয় সাধন করে, সংশ্লিষ্টদের স্বার্থের পক্ষে কথা বলছে। তারা নীতির ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তনের ব্যাপারে সরকারের সঙ্গেও সম্পৃক্ত রয়েছে। শ্রমিক ফেডারেশান ও শ্রমিকদের স্বার্থকে অনেক বেশি কার্যকর ভাবে তুলে ধরছে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সম্পর্কে আশাবাদের কারণ আছে: ডঃ সাঞ্চিতা সাক্সেনা
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সম্পর্কে আশাবাদের কারণ আছে: ডঃ সাঞ্চিতা সাক্সেনা

তিনি আরও বলেন এ ধরণের যোগাযোগ এবং আলাপ আলোচনা অনানুষ্ঠানিক ভাবেও হচ্ছে। এখন মালিকপক্ষ সশরীরে কারখানায় যাচ্ছেন, শ্রমিকদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ মতবিনিময় হচ্ছে। তবে তিনি এ সব কিছুর বাস্তবায়নের উপর ও জোর দিয়ে বলেন এখন প্রধান পদক্ষেপটাই হচ্ছে এ সব কিছু বাস্তবায়িত করা। তাই আইন যদি পাশ করা হয়, উন্নতিও যদি করা হয়, প্রত্যেকটি কারখানায় এ সব কিছুর বাস্তবায়নের দরকার আছে এবং এই বাস্তবায়নে এক ধরণের সামঞ্জস্য বজায় রাখা প্রয়োজন। আর এ ব্যাপারটার দিকেই বাংলাদেশকে মনোযোগ দিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে কোটামুক্ত ও শুল্কমুক্ত পোশাক রপ্তানী সম্পর্কে সাঞ্চিতা সাক্সেনা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের আসলেই উচিৎ হবে, বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত এবং কোটামুক্ত পোশাক শিল্পের বাজার দেওয়া। কারণ এটা এখন পরিস্কা্র যে যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ সাহায্য দিচ্ছে বাংলাদেশকে, পোশাক শিল্পের শুল্ক বাবদ বাংলাদেশকে দিতে হচ্ছে তার প্রায় দশগুণ শুল্ক। সেটা একটা বিশাল বৈষম্য।

তিনি আরো বলেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও দারিদ্রমোচনের দিকে নজর দেয় তা হলে বাংলাদেশকে তার পোশাক শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত ভাবে রপ্তানির সুযোগ দিতে পারে। এর ফলে প্রায় কুড়ি লক্ষ লোক দারিদ্রমুক্ত হবে এবং সেটি বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার চেয়ে ও বড় রকমের সাহায্য হবে।

ঐ আলোচনায় অংশ নেন জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ অ্যাডভানসড ইন্টারন্যাশনাল স্টডিজ এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক কর্মসূচির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ওয়াল্টার অ্যান্ডারসান। তিনি বলেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সম্পসারনের জন্যে বিপননের জন্যে তাদের আরো বেশি উদ্যোগি হতে হবে। তারা এখন অবশ্য কেবল পোশাক প্রস্তুত করার মধ্যে নিজেদের আবদ্ধ না রেখে, পোশাকের নকশা করা শুরু করেছে কারণ এটা বোঝা দরকার যে বিপননের জন্যে কেবল সরকারের উপর নির্ভর করলেই চলবে না। সরকারের পক্ষে যথার্থ বিপনন সম্ভব নয়।

আলোচনায় উপস্থিত অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরাও বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের এই ইতিবাচক বিবর্তনের প্রশংসা করেন এবং গার্মেন্টস শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

XS
SM
MD
LG