অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সাংবাদিক কর্মশালা-৫: তোমাকেই সুস্থভাবে বাঁচতে হবে মা


তোমায় সুস্থভাবে বাঁচতে হবে মা..পৃথিবীতে জন্মেছিলে তুমি অসচ্ছল পরিবারে।

সমাজ আর পরিবারের দায়ে তুমি শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারোনি। একটু বড় হতেই পরিবারের দায় সারতে তোমাকে বিয়েও দেয়া হলো চটজলদি। পৃথিবীতে সমৃদ্ধি আনতে সন্তান জন্মানোর দায়িত্ব তুমিই নিয়েছো কিন্তু তার জন্য পারিপার্শ্বিক সুযোগ-সুবিধার সকল দ্বার আবদ্ধ ছিলো তোমার সামনে। এরপরও তোমার বিপন্ন প্রায় জীবন আর অনাগত সন্তানের জীবন শংকার জন্যও দায় চাপলো তোমার ঘাড়েই। আসলেই কি দোষ সব তোমারই ছিলো! তোমার পরিবার, তোমার সমাজ, তোমার দেশ এবং সারা বিশ্বই কি তোমার এই পরিণতির জন্য কোনো অংশেই কম দায়ী।

তবুও এই সুন্দর পৃথিবীকে গড়তে, বাংলাদেশে একটি সুন্দর আগামী গড়তে একটি সুস্থ সন্তানকেই পৃথিবীতে আনার প্রত্যাশা দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে হবে তোমাকেই। তাই তোমাকেই সুস্থভাবে বাঁচতে হবে মা। তাই তুমি আগে যা জানো নি, আমরা তোমাকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছি, সেই ব্যর্থতার গন্ডিতে যেন তুমি আবদ্ধ না হয়ে পড়ো, সে জন্য তোমাকে উঠে দাঁড়াতেই হবে। নিজের জন্য এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তুমি সহ সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে সচেতন ভাবেই।

তুমি হয়তো জানো না মা, পিছিয়ে পড়া এই বাংলাদেশও সুস্থ মা ও সুস্থ সন্তান নিশ্চিত করতে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। হয়তো ততোটা সফলতা আসেনি। এখনো ১ হাজার প্রসূতি মায়ের মধ্যে ১৩৯ জনই মৃত্যুবরণ করেন। তবে সু-খবর যে, এই মৃত্যুহার ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে। রক্তশ্রাব কিংবা খিঁচুনিতে মৃত্যু নিয়ে সচেতনতাও বেড়েছে। প্রয়োজনীয় ঔষধও এখন পাওয়া যায়। সরকারি স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর পাশাপাশি অনেক বেসরকারি ও বিদেশি সংস্থাও অবহেলিত তুমি এবং তোমার মাধ্যমে আগত সন্তানের সুরাক্ষায় কাজ করছে। তুমি এখন আর হাসপাতালের জন্য রাস্তায় পড়ে মরতে হবে না। সারাদেশে এখন কেবল সূর্যেল হাসি ক্লিনিকই আছে ৩৮৮টি। সেখানে প্রশিক্ষিত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তোমাকেই সেবা দিতে প্রস্তুত মা। তারা শুরু থেকেই তোমাকে মায়ের ব্যাংক দিচ্ছে সঞ্চয়ের জন্য। এরপরও তুমি অর্থ সংকটে পড়লে কম খরচে সুবিধাও পাবে সেখানে।

তুমি আর অবহেলায় পিছিয়ে পড়ে থেকো না মা! তোমাকে বিদ্যায়, মেধায়, ক্ষমতায় বলিয়ান হতে হবে। তবেই তো বাংলাদেশ পাবে সুস্থ জাতি।

রিপোর্ট- ১। এমরানুল ইসলাম মুকুল- দৈনিক প্রিয় চট্টগ্রাম। ২। চম্পক চক্রবর্ত্তী- দৈনিক সাঙ্গ্৩। সামছুদ্দিন ইলিয়াস- দি ইনডিপেন্ডেন্ট। ৪। ওমর ফারুক ইমন- দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ।

XS
SM
MD
LG