গতকয়েক মাস ধরে চলা অশান্ত কাশ্মীরে নতুন দিল্লী থেকেকেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং এর নেতৃত্বে দুদিনের সফরে সর্বদলীয় প্রতিনিধিরা কাশ্মীরে শান্তি আলোচনার জন্যে সেখানে পৌছলেও শেষ পর্যন্তমুখ ফিরিয়ে নিলেন হুরিয়ত নেতারা। বাড়ির দরজাই খোলেননি শীর্ষ কট্টরপন্থী নেতা সঈদ আলি শা গিলানি। কথা না বলেই ফিরে আসতে হয় কেন্দ্র থেকে দু দিনের কাশ্মীর সফরে যাওয়া সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের কয়েকজন সদস্যকে।এজন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাল্টা একহাত নিলেন রাজনাথ সিংহ।সাংবাদিক সম্মেলন করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এহেন ‘অসহযোগিতামূলক’ মনোভাবকে আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ওঁদের এমন আচরণ থেকেই স্পষ্ট যে, ওঁরা কাশ্মীরিয়ত্, ইনসানিয়াত, জমহুরিয়ত-এ বিশ্বাসই করেন না।রাজনাথ সিং বলেন, আমি এখানে পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, প্রতিনিধিদলের কয়েকজন হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে নিজেদের উদ্যোগে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আমরা এতে হ্যাঁ বা না কিছুই বলিনি। কিন্তু তারপর কী হল, সেটা আপনারা সকলেই দেখেছেন। সে ব্যাপারে আমি বিস্তারিত বলতে চাই না। তবে ফিরে এসে আমাদের বন্ধুরা তাঁরা যে ব্যবহার পাওয়ার কথা জানিয়েছেন, তাতে বলা যায়, এটা কাশ্মীরীয়ত নয়। একে ইনসানিয়ত (মানবিকতা) বলা যায় না। প্রতিনিধিরা কথা বলতে গিয়েছিলেন। কেউ আলোচনার জন্য কারও কাছে গিয়ে যদি প্রত্যাখ্যান পান, তবে সেটা জমহুরিয়ত (গণতন্ত্র) নয়।শান্তি আলোচনার প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিপিআই এম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, জনতা দল (ইউ) নেতা শারদ যাদব, আরজেডি-র জয় প্রকাশ নারায়ণ ও এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি প্রমুখ
এ সম্পর্কে পরমাশিষ ঘোষ রায়ের রিপোর্ট।