যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেণ্ট পার্ক গিউন হাই এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইইউন বিউং সে’র সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা কোরিয় উপদ্বীপে নিরাপত্তা এবং দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন।
সোমবার, বৈঠকের পর, একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কেরি বলেন, উত্তর কোরিয়া এখনও তাদের পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে এতটা অগ্রসর হয়নি যে, যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের আলোচনার প্রস্তাব দিতে হবে। অবশ্য পিয়ং-ইয়ং-এর ওপর চাপ বাড়াতে হবে।
এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক পরীক্ষার ওপর জাতিসংঘের তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
কেরি আরও বলেছেন, যদি উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত থাকে তাহলে, তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও অভিযোগ জানানো হবে।
রোববার মিঃ কেরি, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং-এর সঙ্গে দেখা করেন। পররাষ্ট্র বিভাগের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুপক্ষই কোরিয় উপদ্বীপে পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তাদের যৌথ অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন। এবং তারা পিয়ং-ইয়ং-এর ওপর চাপ অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও একমত হন।
উত্তর কোরিয়া্র, তার জনগণের ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহারের স্বাধীনতা খর্বের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। সেই সাথে ঐ কমিউনিস্ট দেশটি যে, গত বছর হলিউডের সোনি পিকচার্স ওয়েবসাইটে হ্যাক করে, সেই বিষয়টির প্রতিও তিনি নিন্দা জানান।
সোলের কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখার সময় মিঃ কেরি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের ইন্টারনেট স্বাধীনতার প্রশংসা করেন।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে প্রযুক্তির পুরো সুবিধে নিতে হবে। এবং ডিজিটার নীতিও তাই হওয়া উচিত।