অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইসলামিক ষ্টেট দমনে ৬৬-জাতির জোটের অগ্রগতিতে জন কেরীর সন্তোষ প্রকাশ


মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনতে ঐ অঞ্চলের দেশগুলোর প্রয়াসের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরী। আল-হুররা নেটওয়ার্কের সঙ্গে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ইসলামিক ষ্টেট বা দাইশ দমনে ৬৬-জাতির জোটের প্রচেষ্টা ও অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ঐ সাক্ষাৎকার নিয়ে শুনুন সেলিম হোসেনের রিপোর্ট:

আল হুররার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরী দাইশের সঙ্গে যুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোটের অগ্রগতি, ঐ যুদ্ধে সৌদী আরবের ভূমিকা, তরুণ নেতৃত্বের গুরুত্ব এবং ইরাকে রাজনৈতিক পরিবর্তনের ওপর জোর দেন।

“বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অর্থায়ন বন্ধে কাজ করছি আমরা। তরুনরা যেনো তাদের দলে যোগদানে উদ্বুদ্ধ না হয় তা ঠেকানোর লক্ষ্যে কাজ করছি; দাইশ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন ধরণের সামাজিক মাধ্যমে আমরা লোকজনকে সজাগ করার কাজ করছি”।

জন কেরী বলেন ইসলামিক ষ্টেট প্রতিরোধে তাদের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে সৌদী আরবের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন এবং আমাদের প্রশাসন আশা করে সৌদী নাগরিকেরা ঐ জঙ্গী গোষ্ঠীর অর্থায়নের কিছু অংশ, যা বিভিন্ন ব্যাক্তগত এ্যাকাউন্ট থেকে যায় তা বন্ধ করতে পারেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরী বলেন মধ্যপ্রাচ্যের কিছু তরুন নেতা ইতিমধ্যেই আইএস জঙ্গী দমনে তাদের আগ্রহ ও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

“আরব আমীরাতের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মেদ বিন জায়েদ প্রমান করেছেন তিনি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এবং তার ভাইদের সঙ্গে নিয়ে জ্বালানী সংক্রান্ত কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন যা সন্ত্রাসীদের দমনের জন্যে গুরুত্বপূর্ন। দাইশ ও আল কায়েদার বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার”।

তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্র, এ ধরনের প্রয়াসে উৎসাহ প্রদান ও সহযোগিতা করতে চায় এবং ইরাকের ন্যায়, ঐ অঞ্চলে অন্যান্য দেশ; যেখানে ইসলামিক ষ্টেটের সঙ্গে ইরাকী বাহিনী যুদ্ধে লিপ্ত থাকায় দেশে চলছে রাজনৈতিক সংকট; তাদেরকে যুক্তরাস্ট্র সহায়তা করতে চায়।

XS
SM
MD
LG