বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকার শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মালিক শ্রমিক সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিক আইন সংস্কারের প্রতি জোর দিলেন যুক্তরাষ্ট্রে এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তারা। ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর ডেমোক্রেটিক ষ্টাডিজ এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় শ্রমিকের ক্ষমতায়নে দেশে গণতন্ত্রের চর্চা বাড়ানোর প্রতিও গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বিস্তারিত শুনুন সেলিম হোসেনের রিপোর্টে:
বাংলাদেশে গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ ও রপ্তানী প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা বা ইপিজেডে শ্রমিকের ক্ষমতায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্খাপন করেন যুক্তরাস্ট্রের রেগ্যান ফ্যাসেল ডেমোক্রেসী ফেলো, এ্যাডভোকেট একেএম নাসিম। বক্তব্যের সারমর্ম জানতে চাইলে একেএম নাসিম বলেন শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে মালিক শ্রমিক দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকারকে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র কতৃক জিএসপি বাতিল করায় বাংলাদেশের ক্ষতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন ইপিজেড বা পোষাক শিল্পে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব না পড়লেও সামগ্রিকভাবে দেশের রপ্তানী বানিজ্যে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
একেএম নাসিম তার বক্তব্যে ৪ পর্বে বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের গনতন্ত্রের অবস্থা, দেশটির শ্রম প্রচলিত আইনের অবস্থা, রপ্তানী প্রক্রিয়াকরন এলাকায় শ্রমিক অধিকারের বাস্তব অবস্থা এবং পরামর্শ।
তিনি বলেন আয়তনে ক্ষুদ্র হওয়া স্বত্বেও বিশ্বের ৮ম জনবহুল দেশ বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে একটি গনতান্ত্রিক দেশ। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নামের দুটি দল ঘুরে ফিরে দেশের রাস্ট্র-ক্ষমতায় আসে বলে দেশের সাধারন শ্রমিক আইনে দরকষাকষির জন্য শ্রমিক ইউনিয়নের অধিকার থাকার পরও, সকল শ্রমিক সংগঠনগুলোতে রয়েছে এই দুই দলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ্য রাজনৈতিক প্রভাব। উপরন্তু রয়েছে মালিক পক্ষের বিভিন্ন নিয়ম কানুন। ফলে শ্রমিক আইন যথাযথভাবে চর্চা হয় না।
আর ইপিজেড যেহেতু বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠিত হয়েছিল, তাই সেখানে মালিকদের স্বার্থ বেশী করে গুরুত্ব দেয় সরকার। তাছাড়া ইপিজেডের শ্রমিকদের ইউনিয়ন করার অধিকার নেই। নাসিম বলেন, ইপিজেডে তারা শ্রমিক কল্যান সমিতি করতে পারে, তবে তা সীমিত আকারে। এসব কারনেই তিনি শ্রমিক আইন সংস্কার করে মালিক শ্রমিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে শিল্প উৎপাদন বাড়ানো ও দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
সলিডারিটি সেন্টারের এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক টিম রায়ান নাসিমের বক্তব্যের নানা দিক সমর্থন করে বলেন, ইপিজেড বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থণৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ন। কারন দেশের মোট রপ্তানী আয়ের ২০ শতাংশ আসে এর মাধ্যমে। তিনি আশা করেন গনতান্ত্রিক চর্চা বাড়ানোর মাধ্যমে ইপিজেডসহ সমগ্র বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার শক্তিশালী করতে সরকার সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন।
বক্তব্য পর্বের পর উপস্থিত দর্শকরা বাংলাদেশের সরকার, শ্রমিক আইন, শ্রমিক অধিকার সহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর ডেমোক্রেটিক ষ্টাডিজের জেরোক্সেস স্পেন্সার।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ ও রপ্তানী প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা বা ইপিজেডে শ্রমিকের ক্ষমতায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্খাপন করেন যুক্তরাস্ট্রের রেগ্যান ফ্যাসেল ডেমোক্রেসী ফেলো, এ্যাডভোকেট একেএম নাসিম। বক্তব্যের সারমর্ম জানতে চাইলে একেএম নাসিম বলেন শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে মালিক শ্রমিক দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকারকে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র কতৃক জিএসপি বাতিল করায় বাংলাদেশের ক্ষতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন ইপিজেড বা পোষাক শিল্পে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব না পড়লেও সামগ্রিকভাবে দেশের রপ্তানী বানিজ্যে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
একেএম নাসিম তার বক্তব্যে ৪ পর্বে বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের গনতন্ত্রের অবস্থা, দেশটির শ্রম প্রচলিত আইনের অবস্থা, রপ্তানী প্রক্রিয়াকরন এলাকায় শ্রমিক অধিকারের বাস্তব অবস্থা এবং পরামর্শ।
তিনি বলেন আয়তনে ক্ষুদ্র হওয়া স্বত্বেও বিশ্বের ৮ম জনবহুল দেশ বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে একটি গনতান্ত্রিক দেশ। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নামের দুটি দল ঘুরে ফিরে দেশের রাস্ট্র-ক্ষমতায় আসে বলে দেশের সাধারন শ্রমিক আইনে দরকষাকষির জন্য শ্রমিক ইউনিয়নের অধিকার থাকার পরও, সকল শ্রমিক সংগঠনগুলোতে রয়েছে এই দুই দলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ্য রাজনৈতিক প্রভাব। উপরন্তু রয়েছে মালিক পক্ষের বিভিন্ন নিয়ম কানুন। ফলে শ্রমিক আইন যথাযথভাবে চর্চা হয় না।
আর ইপিজেড যেহেতু বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠিত হয়েছিল, তাই সেখানে মালিকদের স্বার্থ বেশী করে গুরুত্ব দেয় সরকার। তাছাড়া ইপিজেডের শ্রমিকদের ইউনিয়ন করার অধিকার নেই। নাসিম বলেন, ইপিজেডে তারা শ্রমিক কল্যান সমিতি করতে পারে, তবে তা সীমিত আকারে। এসব কারনেই তিনি শ্রমিক আইন সংস্কার করে মালিক শ্রমিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে শিল্প উৎপাদন বাড়ানো ও দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
সলিডারিটি সেন্টারের এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক টিম রায়ান নাসিমের বক্তব্যের নানা দিক সমর্থন করে বলেন, ইপিজেড বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থণৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ন। কারন দেশের মোট রপ্তানী আয়ের ২০ শতাংশ আসে এর মাধ্যমে। তিনি আশা করেন গনতান্ত্রিক চর্চা বাড়ানোর মাধ্যমে ইপিজেডসহ সমগ্র বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার শক্তিশালী করতে সরকার সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন।
বক্তব্য পর্বের পর উপস্থিত দর্শকরা বাংলাদেশের সরকার, শ্রমিক আইন, শ্রমিক অধিকার সহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর ডেমোক্রেটিক ষ্টাডিজের জেরোক্সেস স্পেন্সার।