লিবিয়ায় আইএস জঙ্গীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। এরা হলেনÑ হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মুসলেহউদ্দিন ও বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আরিফুল করিম সিদ্দিক। নিহত মুসলেহউদ্দিনের মামা মোহাম্মদ সেলিম ভয়েস অব আমেরিকাকে জানান, গত ২১শে জুলাই দুপুরে ৪ বন্ধু মিলে বেনগাজির নিয়ার আজদাবিয়া শহরে বেড়াতে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই তারা আইএস জঙ্গীদের সামনে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবেই জঙ্গীরা গুলি ছোঁড়ে। দুইজন গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। দুইজন প্রাণে বেঁচে যায়। ২৮ বছরের যুবক মুসলেহউদ্দিন। এসএসসি পাস করার পরে সংসার বাঁচাতে প্রথমে সুদান পরে লিবিয়া পৌঁছায়। ৪ জনের সংসার। বাবা বেঁচে নেই। জমি-জমাও নেই তেমন। সংসারের টানাপোড়নের সমাপ্তি টানতেই মুসলেহউদ্দিন লিবিয়া গিয়েছিল। বললেন, মামা মোহাম্মদ সেলিম। ছোট ভাগিনা বাড়ি থেকে খবর দেয় ভাইয়ের গুলি লেগেছে।
মুসলেহউদ্দিনের মা শয্যাশায়ী। ছোট ভাই মুশতাকও বাকরুদ্ধ। কথা বলার চেষ্টা করেছি। কারও সঙ্গেই কথা বলা সম্ভব হয়নি। লাশ দেশে আনা যাবে কিনা এ নিয়ে নানা সংশয় তৈরি হয়েছে। একদিকে লিবিয়ায় বাংলাদেশের কোন দূতাবাস নেই। নিরাপত্তাজনিত কারণে এ মাসেই দূতাবাস বন্ধ করে তিউনিশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অনেক টাকার প্রয়োজন। মুসলেহউদ্দিনের চাকরিদাতা জানিয়ে দিয়েছে, এত টাকা খরচ করে লাশ দেশে পাঠানো সম্ভব নয়। নিহত সিদ্দিকের মা রাবেয়া খাতুন জানান, তার ২ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে সিদ্দিক দ্বিতীয়। ৫ বছর আগে হাসপাতালের কাজ নিয়ে লিবিয়াতে যায়। উল্লেখ্য, প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশী এখনও লিবিয়ায় কর্মরত রয়েছেন।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট