মালয়েশিয়ার যে বিমানটি নিখোঁজ হয়ে গেছে, তা নিয়ে দেশে বিদেশে অনেক আলোচনা চলছে।
ক্যাপ্টেন নাসিমুল হক, বাংলাদেশ বিমানের সাবেক বৈমানিক এবং বাংলাদেশ বৈমানিক সংস্থা ‘বাপা’র প্রাক্তন সভাপতি, আমাদের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে সেই ঘটনার ওপর কিছু আলোকপাত করেছেন। আসুন বিস্তারিত শোনা যাক রোকেয়া হায়দারের কাছে।
মালয়েশিয়ার যে বোয়িং বিমানটি আকাশে উড়ে প্রায় ৩৫ হাজার ফুট উঁচূতে উঠে মালয়েশিয়া আর ভিয়েতনামের মাঝামাঝি সাগর জলে হঠাত্ করেই মিলিয়ে গেল, তার রহস্য দিনে দিনে আরও ঘণীভূত হয়ে উঠছে। তার কারণ সম্পর্কে নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে – আবহাওয়া কি খারাপ ছিল? কোন যান্ত্রিক ত্রুটি কি দূর্ঘটনার কারণ হতে পারে? অথবা বিমানের ভিতরে বা বাইরে থেকে কোন সন্ত্রাসী তত্পরতা। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা Interpol নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে, এবং ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে দুজন ইরানী, ১৯ বছর বয়স্ক পুরী নুরমোহাম্মদি এবং ২৯ বছর বয়স্ক দেলাওয়ার সাইয়দমোহাম্মদেরযা বিমানে উঠছে।
বাংলাদেশে বিমানের প্রাক্তন বৈমানিক ক্যাপ্টেন নাসিমুল হক বললেন – ‘এখনকার এয়ার-প্লেনগুলো ….
চারদিন পরেও কোন হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না কেন? এ প্রশ্নের জবাবে ক্যাপ্টেন নাসুমুল হক জানালেন – ‘এই হদিশের ব্যাপারটা আবার দুরকম হতে পারে, যে সেটা কোনকারণে হয়তো বেজিং যাচ্ছিল না…’
বোয়িং ট্রিপল সেভেন বিমান অগাধ জলরাশিতে বিধ্বস্ত হলে সেটা না-ও খূঁজে পাওয়া যেতে পারে, সেটা কি সম্ভব? বাংলাদেশ বৈমানিকের জবাব ছিল – ‘এখন এই স্যাটেলাইট যুগে আপনি উঁচূ থেকে একটি পিনও দেখতে পারেন।স্যাটেলাইট থেকে…’
ক্যাপ্টেন নাসিমুল হক যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বাংলাদেশ বিমানে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তার দীর্ঘকালের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি এই ঘটনা কিভাবে বিশ্লেষণ করবেন। কেন এমনটা হলো? এ প্রসঙ্গে তিনি বললেন – ‘এ ক্ষেত্রে আমি মনে করবো যে it must have been destroyed in the air, either from the ground or from within the air plane…’
আপনারা নিয়মিত খবরাখবরে শুনছেন, দেখছেন। দুজন চুরি করা পাসপোর্ট নিয়ে বিমানে উঠেছিল, তারা কি কোন সন্ত্রাসী হামলা চালায়? বিমানটি শনিবার কোন দূর্যোগ-সমস্যার সংকেত না জানিয়েই আকাশ সীমায় উধাও হয়ে গেল। ওদিকে বিমানের ২৩৯জন যাত্রী-ক্রুর আত্মীয় স্বজনরা অপেক্ষায় রয়েছেন…১৮৫ কিলোমিটার জুড়ে জলে-স্থলে যে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে তার শেষ কোথায়….