অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানের সন্ধান তত্পরতা সংবাদ


মালয়েশিয়া এয়ারলাইনের ২ শ’ ৩৯ আরোহিসহ মাঝ আকাশ থেকে উধাও জেট বিমানের উদ্ধার তত্পরতা এখন সন্ধান তত্পরতায় পর্যবসিত হয়েছে যে কথাটা মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন স্বভাবত:ই , ঐ বিমানটির সন্ধান এখন চলছে পঞ্চম দিনের মতো।
মালয়েশিয়ার পরিবহন দফতরের মন্ত্রী হিশামুদ্দীন হুসেইন বলেছেন- মালয়েশিয়াকে এমোনই একটা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে যা কিনা নজিরবিহিন,শনিবার থেকে উধাও মালয়েশিয়া এয়ারলাইনের বোয়িং 777 বিমানটির সন্ধানকাজে যাই প্রয়োজন তাঁরা তা করবেন।এ্যাক্ট-
বুধবারের এক সংবাদ অবহিতকরণ সমাবেশে মন্ত্রী বলেন-১২টি দেশের ৪২টি জাহাজ ও ৩৯টি বিমান এ সন্ধান অভিযানে এ অবধি কিছুই পায়নি খূঁজে, যে সন্ধানকাজ এখন সম্প্রসারিত হয়েছে ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে।
মন্ত্রী বলেন-সন্ধান কাজ এখন শুধু দক্ষিন চীন সাগরই নয়,মালয়েশিয় বদ্বীপের ওধারে- কয়েক শ’ কিলোমিটার দূরের মালাক্কা প্রণালী অবধি এবং এমোনকি ভারতের আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্তও সম্প্রসারিত হয়েছে।
এর আগে ঐ প্রণালীর ওপরের আকাশে শেষবার ঐ বিমানটির দেখা মিলেছিলো বলে যে তথ্য দেওয়া হয়,বুধবার মালয়েশিয়ার সামরিক বাহিনী সেকথা সঠিক নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে।সংবাদ অবহিতকরণ সমাবেশে সামরিক বাহিনীর জনৈক কর্মকর্তা জানান-শনিবার স্থানীয় সময় মোতাবেক ভোর ২টো পনেরো মিনিটে রেডারের পর্দায় সম্ভবত: যে একটি বিমান দেখা গিয়ে থাকতে পারে,মালয়েশিয়ার পেনাং দ্বীপের ৩ শ’ ২০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে,সেটি ঐ বিমানটিই ছিলো – হলপ করে তা তিনি বলতে পারেন না।
বিমানটি যদি কিনা মালাক্কা প্রণালী অবধিই গিয়ে থাকতে পারে, সে ক্ষেত্রে,ঐ যে বলা হ’চ্ছিলো বিমানটি হয়তোবা আকাশ ওঠার পর পরই হঠা্ত্ বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পড়েছিলো এবং বৈমানিক কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না - সে কথাটা তাহলে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।
শনিবার ভোরে বেজিংয়ের পথে কুয়ালালামপুর থেকে রওয়ানা হবার পর পরই – ঘন্টা খানেকের ভেতরেই বিমানটি অসামরিক রেডারের পর্দা থেকে উধাও হয়ে যায়।
XS
SM
MD
LG