অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মালি'র হোটেলে জিম্মী যুক্তরাষ্ট্রের ৬ নাগরিকসহ সকলে মুক্ত


মালি’র রাজধানীর একটি বিলাসবহুল হোটেলে যে ১৭০জনকে জিম্মী করে ছিল বন্দুকধারীরা, তারা সবাই মুক্তি পেয়েছেন।

নিরাপত্তা সুত্র জানিয়েছে--মালি’র বিশেষ বাহিনী জিম্মীদের উদ্ধারে বামাকোর রেডিসন ব্লু হোটেলের প্রতিটি তলায় অভিযান চালায়।

যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর আফ্রিকা কমান্ড জানিয়েছে, উদ্ধার পাওয়া জিম্মীদের মধ্যে ছয়জন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন। এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী উদ্ধার অভিযানে হোটেলের বাইরে থেকে সাহায্য করেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাতিসংঘ এবং মালির সেনারা হোটেলটি ঘিরে রেখেছে। হোটেলের প্রধান প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশটি তা নাগরিকদের যে যেখানে আছে সেখানে থাকার এবং হোটেল অবরুদ্ধ থাকার সময় ঝুঁকি না নেয়ার আহবান জানিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার ইসলামি স্লোগান দিয়ে অন্ততপক্ষে চারজন বন্দুকধারী রাজধানীর ঐ হোটেলটিতে ১৭০জনকে জিম্মী করে। যার মধ্যে তিনজনকে হত্যা করেছে ঐ বন্দুকধারীরা। কূটনৈতিক লাইসেন্স প্লেট থাকা একটি গাড়িতে করে বন্দুকধারীরা হোটেলে প্রবেশ করে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে , প্রাথমিক ভাবে বন্দুকধারীরা ২০ জনের মত জিম্মীকে মুক্তি দিয়েছিল। এবং বন্দুবধারীরা তাদেরকেই মুক্তি দিয়েছে, যারা কোরআন তেলোয়াত করতে পেরেছে।

তুরস্কের বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ছয়জন কর্মচারি ঐ হোটেলে জিম্মী । জিম্মীদের মধ্যে ফ্রান্স, নাইজেরিয়া এবং চীনের নাগরিকও রয়েছে।

মালিতে থাকা যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দূতাবাস রেডিসন হোটেলের চলমান জিম্মী ঘটনা সম্পর্কে অবগত। দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের সব নাগরিক এবং দূতাবাস কর্মকর্তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে।

মালয়শিয়াতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা’কে মালির জিম্মী ঘটনার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এবং তিনি তাঁর কর্মকর্তাদের সর্বশেষ পরিস্থিতি তাকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসলামি জঙ্গীরা যে হুমকি তৈরী করেছে, মালির ঘটনা তারই প্রমান। দেশটিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী থাকার পরও ঐ জঙ্গীরা মালির উত্তর ও মধ্যাংশে সক্রিয়।

ফ্রান্স নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী ২০১৩ সালে ইসলামি গ্রুপটিকে উত্তর মালি’র ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়।

XS
SM
MD
LG