অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নির্বাচনে বিজেপি'র বিপুল বিজয়, নরেন্দ্র মোদি হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী



ভারতের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি’র একচ্ছত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও বিপুল বিজয়ে; নরেন্দ্র মোদি হচ্ছেন দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দল, যারা বিগত ১০ বছর দেশটির শাষণভার পরিচালনা করছে, নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করেছেন।

৫ সপ্তাহের নির্বাচন শেষ হয় গত সোমবার। নির্বাচন কমিশন বলেছে ৬৬ শতাংশ; অর্থাৎ রেকর্ড পরিমাণ ভোট পড়েছে এবারকার, ৮১ কোটি ৫০ লক্ষ ভোটারের নির্বাচনে।

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মোদি ছেলেবেলায় স্থানীয় রেল ষ্টেশনে তার বাবার চা বিক্রির ষ্টলে তাকে সাহায্য করতেন। মা টুকটাক কাজ করতেন।

তরুণ বয়সে মোদি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ নামে এক হিন্দু ডানপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন এবং সেখানেই সাংগাঠনিক দক্ষতা ও শৃংখলা নিয়মানুবর্তিতা শেখেন। রাজনীতিতে যোগ দেন এবং ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন।

২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় সহস্রাধিক মানুষ মারা যান যাদের অধিকাংশই ছিল মুসলমান। তখন মোদির রাজনৈতিক জীবনে বেশ বড় আঘাত আসে। ঐ দাঙ্গায় মোদিকে দায়ী করা হলেও তিনি তা অস্বীকার করেন।

শুক্রবার সকালে নির্বাচনের ভোট গননা শুরু হওয়ার দুই ঘন্টা পর থেকেই টেলিভিশনে খবর আসতে শুরু করে বিজেপির সম্ভাব্য বিজয়ের আভাস দিয়ে।

আর একই সঙ্গে নয়া দিল্লিতে বিজেপির সদরদপ্তরের সামনের রাস্তা রূপ নেয় উৎসবে। বিজেপি সমর্থকরা নেয়ে গেয়ে বাজি ফুটিয়ে মিষ্টি বিতরণ করে দলের বিজয় উল্লাস করেন।

ফলাফল বিজেপির অনুকুলে আসতে শুরু করার পর নরেন্দ্র মোদি এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘ভারত জিতেছে। সমানে আমাদের ভালো সময়’।

মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় দেশবাসীর প্রতি আবেদনের মূল মন্ত্রই ছিল এটি। দেশের উন্নয়ন, শক্তিশালী নেতৃত্ব আর পরিচ্ছন্ন শাষণ ব্যাবস্থা কায়েম করার প্রতিশ্রিুতি দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচনের আগে সারা দেশে চার শতাধিক জনসভায় বক্তব্যদানকালে।

বিজেপি প্রেসিডেন্ট রাজনাথ সিং একে আখ্যা দিয়েছেন ‘নতুন যুগের সূচনা’ হিসাবে। তিনি বলেন দেশের সকল মহল তার দলেল ইতিবাচক এজেন্ডায় সমর্থন দিয়েছেন।

“তিনি বলেন মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে তাদের রায় দিয়েছেন..এবং সময় এসেছে ভারত এখন সফলতার দিগে এগুবে”

এই বিপুল বিজয়ে বিজেপি একচ্ছত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোনো কোয়ালিশন করে সরকার গঠণ করতে হবে না। ভারতে বানিজ্য বান্ধব হিসাবে পরিচিত বিজেপির বিজয়ের সংবাদের পরপরই ষ্টক মার্কেটে চাঙ্গাভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।

ভারতের নির্বাচনের ফলাফল এবং নতুন সরকারের পররাষ্ট্রনীতি, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত এবং বাংলাদেশ-ভারত ভবিষ্যৎ সম্পর্কসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এ দক্ষিন এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ লিসা কার্টিজ এবং বাংলাদেশের সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) সাখাওয়াত হোসেন। আসুন শোনা যাক আলোচনা।
XS
SM
MD
LG