নেপালে বড়ো মাপের ভূমিকম্প হলো আবার। এবার মৃতের সংখ্যা কম হলেও পঁয়ত্রিশ। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ মতে এবারকার এ কম্পনের মাত্রা ছিলো সাত দশমিক তিন। এবং এবারকার কেন্দ্রবিন্দু ছিলো রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে আশি কিলোমিটার দূরে। এতে জখম হয়েছে ১১ শরও বেশি জন বলে জানাচ্ছে নেপালের জাতীয় আপতকালীন পরিচালন কেন্দ্র।মূল কম্পনের পর পরই এবার কম্পন পরবর্তী ঝটকা-আফটার শক হয়েছে ৬ বার- সবচেয়ে জোরালো ঐ ঝটকারই মাত্রা ছিলো ৬ দশমিক তিন।
ইউনিসেইফের রৌয ফৌলী বলেছেন-কাঠমান্ডুতে কর্মরত সংস্থাটির কর্মিরা সব ঐ ভূকম্পনের সময় টেবিলের নিচে গিয়ে ঠাঁই নিয়েছিল - গোটা ভবন তখন দুলে উঠেছিলো ভয়ংকর ঝটকায়- এর পর পরই, সবাই ভবন ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে বাইরে-উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে।
এর আগে পঁচিশ এপ্রিলের ভূকম্পনে নেপালে প্রাণ হারায় ৮ হাজারের বেশি লোক।দেশটি এখনো ভূকম্পন দূর্গতদের সাহায্যে খাদ্য-পানি ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে- চেষ্টা চালাচ্ছে দূর দূরান্তের দূর্গম এলাকার দূর্গত মানুষের কাছে পৌঁছুতে দূর্যোগপুর্ন আবহাওয়ার ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে।
মঙ্গলবার ঢাকা সহ সমগ্র বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, এর উৎপত্তিস্থল ছিল নেপাল ও চীনের কাছাকাছি, উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৪। । ঢাকা থেকে জহুরুল আলমের রিপোর্ট।
শুধু বাংলাদেশেই নয় ভূমিকম্প অনুভুত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতেও। জানাচ্ছেন পরমাশীষ ঘোষ রায়।