আজ নিউ ইয়র্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রাটিক ভোটাররা, প্রেসিডেন্ট পদের জন্য কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সেই মনোনয়ন প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় ভোট দেবেন।
শাগুফতা নাসরিন কুইন এ বিষয়ে কথা বলেন নিউ ইয়র্কের রাজনৈতিক মহলের দুজন সক্রিয় কর্মীর সঙ্গে।
ডেমোক্রাটিক দলে এগিয়ে আছেন হিলারি ক্লিন্টান এবং রিপাবলিকান দলে অগ্রগণ্য প্রার্থী হচ্ছেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
রিপাবলিকান দলের জন্য যে প্রশ্নটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে ট্রাম্প নিউ ইয়র্কের ৯৫ জন প্রতিনিধি পাবেন কিনা। জুলাই মাসে দলীয় সম্মেলনের আগে ট্রাম্পকে ১২৩৭ জন প্রতিনিধি পেতে হবে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য। এখন পর্যন্ত তার রয়েছে ৭৪৪ জন প্রতিনিধি, সেনেটার ক্রুজের আছে ৫৫৯ এবং গভর্নর কেসিকের ১৪৪জন প্রতিনিধি বা ডেলিগেট।
ওদিকে ডেমোক্রাটিক দলের প্রধান দুই প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টান ও সেনেটার বার্নী স্যান্ডার্স। যদিও হিলারী ক্লিনটান নিউ ইয়র্কে এগিয়ে আছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বার্ণী স্যান্ডার্সের সমাবেশগুলোতে প্রচুর লোকজন হয়েছে ।
হিলারি ক্লিন্টানের একজন সমর্থক হচ্ছেন নিউ ইয়র্ক বাসী কাজী মন্টু । তিনি অভিবাসন নিয়ে কাজ করেন এবং তিনি একজন সাবেক সাংবাদিক। তাকে প্রশ্ন করেছিলাম তিনি কেন হিলারি ক্লিন্টানকে সমর্থন করেন। কাজী মন্টু বললেন যে হিলারি ক্লিন্টানের চারিত্রিক বৈশিষ্টের জন্য তিনি মুগ্ধ, যেমন তাঁর সততা, অভিজ্ঞতা, আত্মপ্রত্যয় এবং দৃঢ়তা। তিনি আরও বলেন হিলারি ক্লিন্টান যে সব ইস্যু নিয়ে কথা বলেন সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ যেমন অভিবাসন, ওবামা কেয়ার, পররাষ্ট্র নীতি, বর্ণবাদের বিরোধীতা ইত্যাদি।
পার্থ ব্যানার্জী দীর্ঘ দিন নিউ ইয়র্কে আছেন। তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষক এবং তিনি শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করেন। তিনি কেন বার্নী স্যান্ডার্সের সমর্থন করেন। সে বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করি। পার্থ ব্যানার্জী বলেন তিনি বার্নী স্যান্ডার্সের মধ্যে একজন সৎ রাজনীতিক কে খুঁজে পেয়েছেন। তিনি বলেন যে বার্নী স্যান্ডার্স সারা জীবন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন এবং সারা জীবন সততার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তিনি বার্নী স্যান্ডার্সের একটি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। পার্থ ব্যানার্জী সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন যে তিনি আমেরিকায় এর আগে এরকম গণ জাগরণ আর দেখেননি। যুব সমাজ যে ভাবে এগিয়ে গেছে স্যান্ডার্সের জন্য তাতে তিনি অভিভূত।
নিউইয়র্কে, এশিয়ান আমেরিকান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ১০ লক্ষ প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটার আছে। তারা এই প্রক্রিয়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।