প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলছেন- সন্ত্রাসী ও অন্যান্যদেরকে পরমানূ-অস্ত্রের ব্যবহার হতে নিবৃত্ত রাখতে গৃহিত বৈশ্বিক উদ্যোগ-তৎপরতা কোনোক্রমেই খতম হয়নি- এখনো।
শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে সাধারনত: উপস্থিতদের এক সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যে গ্রুপ ফটো তোলা হয়ে থাকে তারই ঠিক আগে দিয়ে গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনের পারমানবিক শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে, প্রেসিডেন্ট ওবামা উপসংহারে- তাঁর সমাপনী বক্তব্যে এই মন্তব্যের অবতারনায় বলেন- পারমানবিক উপাদান-মজুদের নিরাপত্তা বিধানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বিগত ৬ বছরে তাৎপর্য্যপুর্ণ-অর্থপুর্ণ অগ্রগতি হাসিল করেছেন।
বলেন- সবাই অংশ নিয়েছেন এ কাজে- এবং আমাদের কষ্টসাধ্য এ কাজের দরুন পারমানবিক উপাদানের ওপর হাত দেওয়া সন্ত্রাসীদের জন্যে আরো মুশকিল করা সম্ভব হয়েছে।এ ঝূঁকি আমরা বেশ ভালো মাত্রাতেই কমিয়ে এনেছি।
ওবামা বলেন- তিনি এবং ওয়াশিংটনে জমায়েত পঞ্চাশেরও বেশি বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সাইবার হামলার হাত থেকে পারমানবিক স্থাপনাগুলোকে আরো মজবুত করতে এবং গোপন তথ্য শরিকানার হিসসাদারি আরো সমৃদ্ধতর করতে একমত হয়েছেন।বলেন- প্যারিস হামলার পর এসব তৎপরতা আরো জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র সন্ধানী টীম মোতায়েন করেছে য়ুরোপে এবং ভবিষ্যতে আমরা আরো অতিরিক্ত সব টীম মোতায়েন করবো। সবারই আমাদের ভুমিকা পালন করতে হবে।গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের ঋেত্রে আমাদের সবারই আরো উদ্যোগ নিতে হবে।প্রয়োজনমতো গুরুত্বপুর্ণ তথ্য বিনিময় না করার কোনো ঝূঁকি কেউই আমরা নিতে পারিনা মোটে – তা সে সরকারের সঙ্গে সরকারের বা সরকারের ভেতরে নিজেদের মধ্যেই হোকনা কেন এবং এখন ঐসব উদ্যোগ প্রয়াস আরো জোরদার করে তোলার সুযোগ এসে হাজির হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক অস্ত্র তৈরির কর্মসূচী খুব ঘনিষ্ঠভাবে পর্য্যবেক্ষন করা হয়েছে – তার ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়েছে এই শীর্ষ সম্মেলনকালে।
শি যিনপিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বৈঠককালে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা যেমনটি কিনা বলেছেন যে, চীনের নেতা জানান এই বলে যে,যোগাযোগ আমরা আরো সম্প্রসারিত করতে চাই এবং কোরিয়ার পারমানবিক প্রশ্নে ও অন্যান্য আঞ্চলিক আর বৈশ্বিক ইস্যুতে আরো সমন্বয় সাধন করতে চাই আমরা।
ওয়াশিংটন , পিয়ংইয়াংকে বেযিংয়ের মিত্র বিবেচনা করে এবং মনে করে উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক অস্ত্র উৎপাদন বিষয়ে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলো বলবত করা নিতান্তই গুরুত্বপুর্ণ।