অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিয়েনমারের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সূচি –ওবামা বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে বুধবার


প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বুধবার গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী এবং কার্যত মিয়ানমারের নেত্রী আওন সান সুচিকে হোয়াইট হাউজে স্বাগত জানাবেন। রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে এটিই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর প্রথম সফর । হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে ওবামার সঙ্গে তাঁর এই বৈঠক হচ্ছে এ ব্যাপারে পরিস্কার আভাস যে তিনিই হচ্ছেন মিয়ানমারের কার্যত অসামরিক নেতা।

হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বলছেন প্রেসিডেন্ট এ ব্যাপারে আওন সান সু চি’র মতামত জানতে আগ্রহী যে সামরিক হুন্তার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্র কতখানি আগ্রসর হবে। মার্চের শেষ দিকে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার জন্যে কোন আহ্বান জানাননি । মনে করা হচ্ছে সামরিক বাহিনীকে আরও গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধনের লক্ষে এগিয়ে যাবার জন্য এই ফাঁক টুকু রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার, পররাষ্ট্র বিভাগের দৈনিক অবহিতকরণ সভায় ঐ বিভাগের উপ-মুখপাত্র সংবাদদাতাদের বলেছেন , নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি সব সময়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। তিনি আরও বলেন আমরা এখনই সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে প্রস্তুত নই । কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে । আমরা সব সময়ই সেটা অব্যাহত রাখার অধিকার রাখি যতটা আমরা প্রয়োজনীয় বোধ করি। টোনার বলেন যুক্তরাষ্ট্র আওন সান সুচিকে স্বাগত জানাতে আনন্দিত এবং গত কয়েক বছরে সে দেশে অনেক কিছুই বদলেছে । তবে তিনি বলেন মানবাধিকার বিষয়ক উদ্বেগ এখনও রয়ে গেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র শান্তি ও আরও পরিপূর্ণ ও শক্তিশালি গণতন্ত্রের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারটি সমর্থন করে।

এ দিকে হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে আওন সান সুচির এই বৈঠকের সময়ে সক্রিয়বাদীরা এটা দেখতে চাইবেন যে কি ভাবে , গণতন্ত্রবাদী নেত্রী তাঁর দেশের রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠির দূর্দশার বিষয়টি তুলে ধরেন। মানবাধিকার গোষ্ঠিগুলো বলছে এরা হচ্ছে বিশ্বের সব চেয়ে নির্যাতিত সংখ্যালঘু। মিয়ানমার সরকার তাদের রোহিঙ্গা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে , তাদের নাগরিকত্ব স্বীকার করে না যদিও তারা বহু বছর ধরে সে দেশে বসবাস করছে। আওন সান সু চি নিজেই বলেছিলেন যে রোহিঙ্গা শব্দটি বিভাজনমুখি এবং সরকার এটি ব্যবহার করবে না।

XS
SM
MD
LG