অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মেহসুদ হত্যা সম্পর্কে পাকিস্তানের বিরূপ প্রতিক্রিয়া


পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন আক্রমণে পাকিস্তানি তালিবান নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদের মৃত্যু , ঐ গোষ্ঠির সঙ্গে শান্তি আলোচনা ব্যাহত করবে।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী চৌধুরী নিসার আল খান আজ বলেছেন যে শন্তিপুর্ণ ভাবে একদশক ধরে চলা আসা সংঘাত নিরসনের জন্যে সরকারের এই প্রচেষ্টাকে এই ঘটনা বিনষ্ট করেছে। খান বলেন যে সরকারী প্রতিনিধিদল শুক্রবারই মেহসুদের সঙ্গে আলোচনায় যাচ্ছিলেন যখন উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সি আই এর ড্রোন অভিযানে তিনি নিহত হন।

পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন যে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে নিজের আস্তানায় সি আই এ ‘র ড্রোন থেকে নিক্ষিপ্ত চারটি ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে মেহসুদ নিহত হন।

একজন বিশ্লেষক আহমেদ রশিদ এই ঘটনার সমালোচনা করে বলেছেন যে আমেরিকানদের এটা অভ্যেস যে পাকিস্তানি তালিবানের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বা সরকারের আলোচনা বন্ধের জন্যে তারা ড্রোন হামলঅ চালিয় গুরুত্বপূর্ণ কাউকে হত্যা করে। আর সেটাই এবার ঘটেছে।

তাদের গোষ্ঠি নতুন নেতা নিযুক্ত করেছে কী না সে নিয়ে পরস্পর বিরোধী খবর পাওয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন যে গোষ্ঠিটির নের্তৃত্বে দ্বিতীয় ব্যক্তি খান সাইদ সাজনাকে শনিবারের এক বৈঠকে দলটির নের্তৃত্ব পদে উন্নীত করা হয়। তবে অন্যরা তালিবানের একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বলেন এমন কিছু করা হয়নি। আগামি কয়েকদিনের মধ্যে নেতা বেছে নেওয়া হবে।

পাকিস্তানি তালিবানের সাবেক নেতা ড্রোন আক্রমণে নিহত হবার পর , ৩৪ বছর বয়সী মাহসুদ ২০০৯ সালে সংগঠনটির প্রধান পদে অধিষ্ঠিত হন।
XS
SM
MD
LG