যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল ম্যানসন ‘হোয়াইট হাউজে’ ১৫ হাজার দর্শনার্থীর সামনে বুধবার পোপ ফ্র্যান্সিসকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
‘সৃষ্টিকর্তা কি অপূর্ব সুন্দর একটি দিন দিয়েছেন’, পোপের আনুষ্ঠানিক উপস্থিতি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। তিনি বলেন পোপের ভালবাসা ও আশা’র বার্তাা আমাদের দেশেওর এবং সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষের মনে আশা ও উৎসাহ জাগিয়েছে।
বুধবার পোপ ফ্রান্সিসের দিনভর নানা কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে বৈঠক, যুক্তরাষ্ট্রের বিশপদের উদ্দেশ্যে তিনি ভাষণ দেবেন।
পোপকে স্বাগত জানানোর সময় প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, “আপনার আগমনে মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে, আমার বিশ্বাস তা শুধু আপনি পোপ সেজন্য নয়; মানুষ হিসাবে আপনার অনন্য গুনাবলীর জন্যেই তা সম্ভব হয়েছ। আপনার বিনম্রতা, আপনার অতি সাধারন জীবন, আপনার শব্দ প্রয়োগর কোমলতা, আপনার উদারতা, এর সব কিছুই আমাদেরকে আপ্লুত করেছে।
পে্রসিডেন্ট ওবামার মন্তব্য ও বক্তব্যের উত্তরে পোপ ফ্র্যান্সিস সমগ্র বিশ্বের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার নানা দিকের প্রশংসা করে বলেন, ‘God bless America.
আশা করা হচ্ছে দুই নেতার বৈঠকের সময় তারা কথা বলবেন রাজনীতিসহ নানা বিষয় নিয়ে।
রাজনৈতিক বিষয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দুরীকরনের চেষ্টাসহ বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়েও কথি ভলবেন পোপ ফ্র্যান্সিস ও প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ডিসেম্বরে প্যরিস জলবায়ুসম্মেলনের আগে তিনি এ নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনেও কথা বলবেন।
প্রেসিডেন্ট ওবামার ডেপুটি ন্যাশনাল সিকুইরিটি এ্যাডভাইজার বেন রডস সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন, “পোপ বলেছেন আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে শ্রষ্ঠার এই সৃষ্টিকে রক্ষার। আর এর মধ্য দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে সতর্কতা অবলম্বনে আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে”।
হোয়াইট হাউজ প্রেস সেক্রেটারী জশ আর্নেষ্ট বলেন, “দুই নেতার কথার মধ্যে ছিল সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, বিভিন্ন ধরণের বৈষম্য দূরীকরণ, ইত্যাদি”।
রক্ষণশীলরা পোপ ফ্র্যান্সিসের অর্থনৈতিক মতামত নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছেন। একউ একউ তাকে মার্ক্সবাদী বলে মন্তব্য করেছেন। অবশ্য কউবা থেকে আসার আগে সাংবাদিকদেরকে তিনি বলেছিলন কেউ কেউ আমাকে ভুলভাবে নিতে পারে, বামপন্থী মেন করে।
হোয়াইট হাউজ সূত্র জানায়, পোপ ফ্র্যান্সিস কথা বলেন ধর্মীয় সংখ্রালঘূদের ওপর নির্যাতন বিষয়ে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান অবস্থার কথা তুলে ধরেন তিনি; যেখানে ইসলামিক ষ্টেট জঙ্গীরা খ্রীষ্টান, ইয়াজিদিদের ওপর ভয়ংকর অত্যাচার করছে।
এছাড়া তিনি অভিবাসন, ইরানের সঙ্গে পারমানবিক চুক্তি, কিউবা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়নসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
অনেক বিষয়ে দুই নেতার মতের মিল হলেও এ্যাবর্শন ও সমলিঙ্গের বইবাহের মতো বিষয়গুলো নিয়ে দুই নেতার মধ্যে দ্বিমত হয়।