অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মেলানিয়া ট্রাম্পের বক্তৃতা নিয়ে বিতর্ক, আজ টিফ্ফানি ট্রাম্প ও ডন জুনিয়র ট্রাম্পের বক্তৃতা


সেলিম হোসেন

ঘটনাবহুল উদ্বোধনের পর ওহা্ইওর ক্লভিল্যান্ডে রিপাবলিকান কনভনেশনের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচী শুরু হচ্ছে আজ ১৯শে জুলাই মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে পাচটায়। প্রথমদিন রোল কল ভোট – চিৎকারের মধ্যে দিয়ে ২৪৭২ ডেলিগেটের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রসিডিউরাল মোশন শুরুর করার মধ্যে দিয়ে তা শুরু হয়।

যারা দলীয় প্রাইমারী বা দলীয় ককাসে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দেন তারা যেনো কনভেনশনে মতামত বদল করার সুযোগ পান সেজনৌ্ই মূলত রোল কল ভোট দাবী করেন ট্রাম্প বিরোধীরা। কিন্তু শেষমেষ কনভেনশন রুলস কমিটির চেয়ারম্যান এনিড মিকেলসেন, জোরের সাথে ট্রাম্প বিরোধীদের বলেন দলের আইন সবাইকে মানতেই হবে এবং অধিবেশন শুরু করার জন্য সবাইকে রোল কল ভোট দাবী থেকে সরে গিয়ে – সম্মেলন শুরু করার সম্মতি দিতে হবে।

কিছুক্ষন কানাঘুষা ও নো ট্রাম্প নো ট্রাম্প ধ্ধনি ওঠে অধিবেশন ফ্লোরে- অপর দিকে ট্রাম্প পক্ষীয়দের কাছ থেকে ইউএসএ এ্যান্ড ট্রাম্প ধ্ধনি ওঠে। বেশ কিছু সময় এভাবে চলার পর মিকেলসেনের প্রয়াসে সব ডলেগিটে একসাথে ‘ইয়েস’ বলার পর আনুষ্ঠানকিভাব শুরু হয় অধিশেনের কর্মসূচী।

ওদিকে সোমবার সকাল থেকেই সম্মেলন কেন্দ্রেরে বাইরে ট্রাম্প বিরোধী সাধারন ভোটাররা বিক্ষোভ করেন সারা দিন। তবে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা এতোই কঠিন ছিল যে কোনো অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।

সোমবার সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের বক্তব্য। তার সেই বক্তৃতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যে তিনি অন্য একজনের বক্তৃতা কপি করেছেন। বক্তৃতায় তিনি তার স্বামী ডনাল্ড ট্রাম্পকে দয়ালু ব্যক্তি আখ্যা দেন এবং বলেন সুযোগ পেলে দেশের জন্য যুদ্ধ করবেন ট্রাম্প।

আজ মংগলবার বিকালের মূল আকর্ষণ ট্রাম্প কন্যা টিফানি ট্রাম্প ও পুত্র ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের বক্তৃতা।

মেক আমেরিকা ওয়ার্ক এ্যাগেইন থিম নিয়ে আজ আরো যারা বক্তব্য রাখছেন তারা হচ্ছেন ষ্পিকার পল রায়ান, নিউ জার্সী গভর্ণর ক্রিস ক্রিষ্টি, রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির কোচেয়ারম্যান শ্যারোন ডে, ইউএফসি প্রেসিডেন্ট ডানা হোয়াইট, গভর্ণর এ্যাসা হাচিসন, আরকানার এ্যাটর্নী জেনারেল লেসলী রাটলেজ, সাবেক এ্যাটর্নী জেনারেল মাইকেল বি মুকাসে, ব্যাবসায়ী এ্যান্ডি উইষ্ট, সেনেটর রন জনসন, NRA Institute for Legislative Action এর নির্বাহী পরিচালক ক্রিস কক্স, গল্ফার ন্যাটালী গুলবিস, সেনেটর মিচ ম্যাককনেল, কংগ্রেসম্যান কেভিন ম্যাককার্থী, সেনেটর শেলী মুর ক্যাপিতো, ডা, বেন কার্সন এবং কিম্বারলি ব্রাউন।

কনভেনশন সেন্টারের বাইরে বিক্ষোভ চলছে আজ্ও সকাল থেকেই-নিরাপত্তা ব্যাবস্থা আরো শক্ত করা হয়েছে।

ক্লিভল্যান্ডে বসবাসরত কোনো বাংলাদেশীর সংগে দেখা না হলেও পাশের শহর টলিডোতে বসবাসরত এক বাংলাদেশী চিকিৎসক ডা. ফয়েজ কবীরের সংগে রিপাবলিকান কনভেনশন নিয়ে কথা হয়। তিনি বলেন তার আসার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু কনভেনশনকে ঘিরে ক্লিভল্যান্ডকে যেভাবে নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা হয়েছে সেখানে ঢোকার জন্য অনেক আগে থেকে পাস নেয়ার দরকার ছিল যা তিনি নিতে সমর্ হননি। তাছাড়া এই শহরে যেহেতু অস্ত্র নিয়ন্ত্রন আইন নেই, যে কেউ এখানে অস্ত্র নিয়ে ঘুরতে পারে। ট্রাম্প বিরোধীদের অনেকের কাছে অস্ত্র থাকবে এবং যে কোনে অঘটন যে কোনো সময় ঘটতে পারে এই আশংকায় তিনি যাননি। তিনি বলেন ওখানকার প্রবাসী বাংলাদেশীরাও হয়তো ওই বয়েই যাননি কেউ।

ওদিকে ক্লিভল্যান্ডের সাধারন মানুষ, যারা কোনো দল সমর্থন করেন না; এই কনভেনশনকে ঘিরে যে বিক্ষোভ প্রতিবাদ হচ্ছে তার জন্যে নিজেদেরকে তারা অরক্ষিত মনে করছেন। বিশেষ করে এই রাজ্যে বন্দুক বা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রনের কোনো আইন না থাকায় যে কেউ অস্ত্র বহন করতে পারার আইনের কারনে তারা আরো শংতিক।

সাধারন মানুষতো বটেই, শহরের পুলিশ ইউনিয়নের তরফ থেকে গভর্ণর জন কেসিকের কাছে অন্তত সাময়িকভাবে এই ওপেন ক্যারি ল’ বন্ধ রাখবার দাবী করেছে।

XS
SM
MD
LG