অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

উইমেন অব কারেজ পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশী তরুণী শারমিন আখতার


বাল্য বিবাহে বাধ্য করতে পরিবারের প্রচেষ্টাকে রুখে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের উইমেন অব কারেজ পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশী তরুণী শারমিন আখতার।

বুধবার যুক্দরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে এক অনুষ্ঠানে ফার্ষ্ট লেডী মেলানিয়া ট্রাম্পের হাত থেকে পুরস্কার নেন শারমিন আখতার। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রটারী থমাস শ্যানোন উপস্থিত ছিলেন।

সারা বিশ্বে শান্তি ন্যায় বিচার, মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে কাজ করার স্বীকৃতি হিসাবে ১৩ জন নারীকে এবার এ পুরস্কার দেয়া হয়।

পুরস্কার দেয়ার সময় বক্তব্যে মেলানিয়া ট্রাম্প বলেন এখানে যারা আমার সঙ্গে এই মঞ্চে রয়েছেন তাঁরা সবাই তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে লড়েছেন; লড়েছেন অন্যের অধিকারের জন্যেও। তারা জেল জরিমানা এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকি উপেক্ষা করে ন্যায়ের জন্যে যুদ্ধ করেছেন।

২০০৭ সাল থেকে এই উইমেন অব কারেজ পুরস্কার শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ৬০টি দেশের ১০০ নারীকে এ পুরস্কার দেওয়া হল।

বাল্য বিবাহের বিপক্ষে অবস্থানকারী এই পুরস্কার পাওয়া বাংলাদেশের শারমিন আখতার রাজাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। লেখাপড়া শিখে সে আইনজীবি হতে চায়।

এ বছর এই পুরস্কার পাওয়া অন্যান্য নারীরা হচ্ছেন: বতসোয়ানার মালেবোগো মালেফে, কলম্বিয়ার নাতালিয়া পংক দে লিওন, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রেবেকা কাবুঘো, ইরাকের জান্নাত আল ঘেজি, নাইজেরের মেজর আইচাতো ইসাকা ওউসমান, পাপুয়া নিউ গিনির ভেরোনিকা সিমোগুন, পেরুর সিন্ডি আরলেত্তে কন্ট্রেরাস বাতিস্তা, শ্রী লংকার সান্দিয়া একনেলিগোদা, সিরিয়ার সিস্টার ক্যারোলিন তাহান ফ্যাচাখ, তুরস্কের সাদেত ওজকান এবং ভিয়েতনামের নাগুয়েন নগোচ নু কুইন।

XS
SM
MD
LG