সাংবাদিক নেতা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার পান্থপথ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সেখানে একটি কনভেনশন সেন্টারে গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে বিএনপি সমর্থিত আদর্শ ঢাকা আন্দোলন নামে সংগঠনের সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পুলিশের বাধার কারণে ওই সংবাদ সম্মেলন অবশ্য শেষ পর্যন্ত হতে পারেনি। গ্রেপ্তার করে শওকত মাহমুদকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। শওকত মাহমুদ বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবেরও একাধিক মেয়াদে সভাপতি ছিলেন। আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক এমাজউদ্দিন পুরো ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, শওকত মাহমুদের নামে কয়েকটি মামলা আছে। এ কারণেই তাকে ধরা হয়েছে। ওদিকে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সম্মানক্ষুন্ন করার অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। ফরিদপুরের আদালতে হাজির করে তার ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস এবং কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট। বাংলাদেশের সাংবাদিক সংগঠনগুলোও তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
ওদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ারকে নাশকতার মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট