প্রতি বছর আমেরিকায় প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ ধূমপানজনিত শারীরিক জটিলতায় মারা যান। অবশ্য গত ৫০ বছরে তামাক ব্যবহার ও ধূমপান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আমেরিকা অনেক দূর এগিয়েছে। যেমন ৫০ বছর আগে যে কোন মিটিং বা কনফারেন্সের সময় টেবিলে একটা অ্যাশট্রে থাকত। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অর্ধেকের মত ধূমপানে আসক্ত ছিলেন। এবং যে বাকি অর্ধেক ধূমপান করতেন না, তাঁরাও অন্য কেউ তাঁদের সামনে ধূমপান করলে তাতে বিচলিত হতেন না। এমনকি দশ জন ডাক্তারের ৯ জন তখন বিশেষ কোন ব্র্যান্ডের সিগারেট সেবনের পরামর্শ দিতেন যাতে গলায় একটু আরাম হয়। ৫০ বছর আগে ধূমপানের অভ্যাস একটা স্বাভাবিক সামাজিক ব্যাপার ছিল।
১৯৬৪ সালে আমেরিকার সার্জেন্ট জেনারেলের তামাক ও স্বাস্থ্য বিষয়ক রিপোর্ট প্রকাশের পর সমাজে পরিবর্তন আসে এবং মানুষ তামাক সেবন বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠে। এই রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, তামাক সেবন এবং ধূমপানের সঙ্গে ফুসফুসের ক্যান্সার ও হৃদরোগের সম্পর্ক রয়েছে।
এখন সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে নানা ধরনের পলিসি নেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ।
এক্ষেত্রে অগ্রগতি প্রসঙ্গে বর্তমান সার্জেন জেনারেল রিয়ার অ্যাডমিরাল বরিস লুশনিয়াক বলেন, ১৯৬৪-৬৫ সালে ৪৩ শতাংশ আমেরিকান ধূমপান করতেন, যা ২০১৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশে।
এ বছর জানুয়ারীর ১৬ তারিখ সার্জেন জেনারেল ধূমপান ও স্বাস্থ্য বিষয়ে আরেকটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। এই রিপোর্টের লক্ষ্য একটি ধূমপান মুক্ত প্রজন্ম তৈরি করা।
ধূমপান নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলের চিকিতসক গবেষক ডাঃ নাকিবুদ্দীন বলেন, বাংলাদেশে ধূমপান বিরোধী আন্দোলন ভীষণ বেগবান হয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। সরকার পার্লামেন্টে আইন পাশ করেছেন। এটার যাতে যথোপযুক্ত ব্যবহার হয় সেটাই সবার প্রত্যাশা। বেসরকারি পর্যায়েও, বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দুটো ব্যাপার এখানে আনা যেতে পারে। এক, বাংলাদেশের তামাক চাষীদের জন্যে বিকল্প শস্য চাষের ব্যবস্থা করা, এবং দুই, বয়স উপযোগী তামাক বিরোধী প্রচারণার কিভাবে চালানো যেতে পারে তার ওপর গবেষণা হওয়া, প্রয়োজন। তিনি আশা করেছেন, একদিন বাংলাদেশে ধূমপান এবং ঘৃণা এই শব্দ দুটি সমার্থক হবে।
এখনও পৃথিবীতে মৃত্যু এবং রোগের প্রধান কারণ তামাক সেবন। প্রতিবছর প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ ধূমপান সংক্রান্ত কারণে মারা যায়। প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন মানুষ তামাক সেবনের কারণে মারা যায়। পৃথিবীব্যাপী যে ১শ কোটি ধূমপায়ী আছে তার ৮০ শতাংশের বাস নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে। যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে, ২০৩০ সাল নাগাদ তামাক জনিত মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে বছরে ৮০ লক্ষে।
১৯৬৪ সালে আমেরিকার সার্জেন্ট জেনারেলের তামাক ও স্বাস্থ্য বিষয়ক রিপোর্ট প্রকাশের পর সমাজে পরিবর্তন আসে এবং মানুষ তামাক সেবন বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠে। এই রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, তামাক সেবন এবং ধূমপানের সঙ্গে ফুসফুসের ক্যান্সার ও হৃদরোগের সম্পর্ক রয়েছে।
এখন সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে নানা ধরনের পলিসি নেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ।
এক্ষেত্রে অগ্রগতি প্রসঙ্গে বর্তমান সার্জেন জেনারেল রিয়ার অ্যাডমিরাল বরিস লুশনিয়াক বলেন, ১৯৬৪-৬৫ সালে ৪৩ শতাংশ আমেরিকান ধূমপান করতেন, যা ২০১৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশে।
এ বছর জানুয়ারীর ১৬ তারিখ সার্জেন জেনারেল ধূমপান ও স্বাস্থ্য বিষয়ে আরেকটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। এই রিপোর্টের লক্ষ্য একটি ধূমপান মুক্ত প্রজন্ম তৈরি করা।
ধূমপান নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলের চিকিতসক গবেষক ডাঃ নাকিবুদ্দীন বলেন, বাংলাদেশে ধূমপান বিরোধী আন্দোলন ভীষণ বেগবান হয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। সরকার পার্লামেন্টে আইন পাশ করেছেন। এটার যাতে যথোপযুক্ত ব্যবহার হয় সেটাই সবার প্রত্যাশা। বেসরকারি পর্যায়েও, বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দুটো ব্যাপার এখানে আনা যেতে পারে। এক, বাংলাদেশের তামাক চাষীদের জন্যে বিকল্প শস্য চাষের ব্যবস্থা করা, এবং দুই, বয়স উপযোগী তামাক বিরোধী প্রচারণার কিভাবে চালানো যেতে পারে তার ওপর গবেষণা হওয়া, প্রয়োজন। তিনি আশা করেছেন, একদিন বাংলাদেশে ধূমপান এবং ঘৃণা এই শব্দ দুটি সমার্থক হবে।
এখনও পৃথিবীতে মৃত্যু এবং রোগের প্রধান কারণ তামাক সেবন। প্রতিবছর প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ ধূমপান সংক্রান্ত কারণে মারা যায়। প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন মানুষ তামাক সেবনের কারণে মারা যায়। পৃথিবীব্যাপী যে ১শ কোটি ধূমপায়ী আছে তার ৮০ শতাংশের বাস নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে। যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে, ২০৩০ সাল নাগাদ তামাক জনিত মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে বছরে ৮০ লক্ষে।