অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সিরিয়াতে যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে বিচার করা সম্ভব হবে: তারেক শামসুর রেহমান


সম্প্রতি সারা বিশ্বেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে যে দুটি খবর তা হলো- আই এস ‘কে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং দ্বিতীয়টি হলো আই এস ‘এর আধিপত্য কমে আসা সংক্রান্ত একটি জরিপের ফলাফল। প্রাসঙ্গিক এসব বিষয় নিয়েই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ওয়াশিংটন স্টুডিও থেকে আনিস আহমেদ।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরী বৃহস্পতিবার বলেছেন যে তাঁর বিবেচনায় ইসলামিক স্টেট বা আই এস, বা যাকে তিনি দাঈশ বলেছেন, তা কার্যত তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে যুদ্ধাপরাধ করছে। চালাচ্ছে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধও। কেরীর এই বক্তব্যর প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে এমন প্রশ্নে অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান বলেন, এর মধ্য দিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট হলো যে যদি জন কেরীর এই বক্তব্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ধারন করে কিংবা যুক্তরাষ্ট্র যদি নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রশ্ন উত্থাপন করে, তাহলে আজকে যারা সিরিয়াতে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে বিচার করা সম্ভব হবে।

এক জরিপে দেখা গেছে যে আই এস, তার দখল করা জায়গাগুলোর উপর, বিশেষত সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ উল্লেখযোগ্য ভাবে হারাচ্ছে। বলা হচ্ছে, ২২ শতাংশ জায়গার উপর আই এস নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। যার মধ্যে ৮ শতাংশ হারিয়েছে বছরের এই প্রথম আড়াই মাসে। এর কারণ জানাতে গিয়ে তারেক শামসুর রেহমান বলেন- আইএস তার ক্ষমতা, প্রতিপত্তি ও সমর্থন ইতিমধ্যে হারিয়ে ফেলেছে। দুটি পরাশক্তির বিরুদ্ধে সেই শক্তি ক্ষয় হয়েছে এবং তারা বাধ্য হয়েছে তাদের অধিকৃত স্থান থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করতে। এটাই স্বাভাবিক। তবে অভিযান যদি চলতো, হয়তো আই এস'এর অস্তিত্ব সিরিয়াতে বিপন্ন হতো।

বিস্তারিত শুনতে নিচের অডিও ফাইলে ক্লিক করুন।


XS
SM
MD
LG