অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘ এই সোমবার নতুন প্রস্থের একটা সিরিয়া শান্তি আলোচনার আয়োজন করতে চায়


Bangla News Tuesday 01-19-2016

Syria aid 13355414

যুক্তরাষ্ট্র, সিরিয়ার চলমান মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে- জাতিসংঘের হিসেব মোতাবেক, এক কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষ সেখানে ত্রাণ সহায়তার আশায় প্রতিক্ষা করে রয়েছে।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত স্যামান্থা পাওয়ার নির্দিষ্টভাবে পনেরোটি অবরুদ্ধ এলাকার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেছেন-এর মধ্যে বারোটিরই অবরুদ্ধ অবস্থার জন্যে দায়ি খোদ সিরিয়া সরকার এবং ডিসেম্বরের গোড়ার দিক থেকে নিয়ে এ অবধি সেখানে কমসে কম মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের ।

ত্রান সহায়তা সরবরাহের পথে কোনো রকমের কোনো বিঘ্ন যাতে সৃষ্টি না করা হয় তার প্রতি লক্ষ রাখার জন্যে তিনি সিরিয়ায়, সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

পাওয়ার বলেন- আশার আলোর অধিকার তাদেরও রয়েছে,অনাদি কাল তাদেরকে সংঘাতের ভেতরেই দিন গুজরান করতে হবেনা –এমনটি বিশ্বাস করবার মতো সময় এখন হয়েছে তাদের অবশ্যই।

জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থাগুলোর তরফে সোমবার হূঁশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে – পূর্বাঞ্চলের অবরুদ্ধ শহর দিয়ের এল যৌরের দু’ লক্ষ মানুষের অবস্থা এখন নিদারুনভাবে সংকটাপন্ন- খাদ্য সামগ্রী আর চিকিৎসা সামগ্রীর ভিষন প্রয়োজন তাদের।

Iraq violence 13356225

জাতিসংঘ বলছে- দু’ হাজার চোদ্দর জানুয়ারী থেকে নিয়ে গেলো বছর অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে, ইরাকে নিহত হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার মানুষ আর ঘরবাড়ি ছেড়ে বাস্তুহারা হয়েছে ৩০ লক্ষেরও বেশি লোক।

ইরাকের উত্তরাংশ এবং পশ্চিমাঞ্চলে ইসলামিক স্টেইট গ্রুপের বিশাল বিশাল সব ভূখন্ড কব্জা করার সঙ্গে সঙ্গে সহিংসতারও মাত্রা বেড়েছে অনেক এবং তার প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় দু’ হাজার চোদ্দ সালে- আর সে বছরেরই আগস্টে জঙ্গিদের লক্ষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান অভিযানেরও সূচনা হয়।

রিপোর্টে বলা হচ্ছে জঙ্গিরা সেখানে সাড়ে তিন হাজারের মতো যৌনদাস করে আটকিয়ে রেখেছে যাদেরকে তারা প্রধানত: সংখ্যালঘু ইয়াযেদি গোষ্ঠীর অন্তর্গত ।আন্তর্জাতিক মানবিক আইন কানুন বেশুমার লংঘিত হচ্ছে সেখানে ।সরকার সমর্থক বাহিনীও মানুষের অধিকারকে সেখানে পদদলিত করছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।

জাতিসংঘ এই সোমবার নতুন প্রস্থের একটা সিরিয়া শান্তি আলোচনার আয়োজন করতে চায়।কিন্তু এখনো অব্দি এতে কেই বা শরিক হবে,আলোচনাও যথাসময়ে ঠিকঠাক আরম্ভ হবে কিনা সেসব নিয়েও সন্দেহ রয়ে গিয়েছে।

সিরিয়ার জন্যে নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত স্তফান দ্য মিসতুরা গত মাসে ঘোষনা করেন তিনি এ আলোচনা জানুয়ারীর পঁচিশ তারিখে জেনিভায় শুরু করাতে চেয়েছেন।

১৭ দেশের একটি গ্রুপের তরফ থেকে সমর্থন পেয়েছেন তিনি – যার ভেতরে, যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে- রয়েছে রাশিয়া, তবে- এই দেশগুলোকেও এখন স্থির করতে হবে, সিরিয়ায় যুযুধান যে গোষ্ঠীগুলো রয়েছে তার মধ্যে থেকে কতোগুলোর প্রতিনিধি আলোচনা টেবিলে যোগ দেবে বা দিতে পারবে। জাতিসংঘের সহকারী মূখপাত্র ফারহান হক সোমবার জানান-ঐ সমস্ত বিষয়ের নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হবেনা। তিনি বলেন-সূচনা দিবস হিসেবে এখনো জাতিসংঘ ঐ পঁচিশ জানুয়ারীর দিনটিকেই ধরে রেখেছে,এবং জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও একটা ঐকমত্যে উপনীত হতে বিশ্ব শক্তিগুলোর প্রতি উদ্যোগ প্রয়াস তাদের দ্বিগুন করবার আহ্বান জানাচ্ছেন।

XS
SM
MD
LG