সিরিয়া প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যে লন্ডন-ওয়াশিংটন সম্পর্কে হতাশা তৈরি হয়েছে। অথচ মাত্র তিন দিন আগে ডনাল্ড ট্রাম্প-তেরেসা মে’র টেলি কথোপকথনে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে উচ্ছাস তৈরি হয়েছিল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করবেন। প্রেসিডেন্ট আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার বদলে আইএসকে নির্মূল করাই হবে তার অন্যতম অগ্রাধিকার। ট্রাম্প বলেন, আসাদ সরকারকে আক্রমণ করলে তা শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই হয়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি সুন্দর চিঠি পাঠানোর জন্য ভ্লাদিমির পুতিনকে ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প। বৃটেন মনে করে ট্রাম্পের এই মনোভাব রাশিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, বৃটেন তার অবস্থান পরিবর্তন করবে না। কারণ, ট্রাম্পের এই দৃষ্টিভঙ্গি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত।
সিরিয়ায় নৃশংস সহিংসতার জন্য আগাগোড়াই বৃটেন বাসার আল আসাদকে দায়ী করে আসছে। তাছাড়া বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন একাধিকবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগ এনেছেন।
এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য বৃটেন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ওয়াশিংটন যাচ্ছেন বরিস জনসন।
ওদিকে, ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোল্টেনবার্গ ট্রাম্পের একলা চলো নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, তার এই নীতি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভাল ফল বয়ে আনবে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা রোববার এক বৈঠকে মিলিত হয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। এই বৈঠকে বৃটেন অনুপস্থিত ছিল। লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী।