যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরী ও মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরী অর্থনীতি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেছেন। দু’ হাজার নয়’র পর যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের মধ্যে এটাই প্রথম গুরুত্বপুর্ণ-কৌশলগত সংলাপ।এ আলোচনা হচ্ছে কায়রোয়,এমোন একটা সময়ে,যখন সিনাই উপদ্বীপে মিশরকে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী হূমকির সম্মুখিন হতে হচ্ছে যার কিছু কিছু আসছে তাদের কাছ থেকে যারা ইসলামিক স্টেইট গোষ্ঠীর প্রতি অনুগত বলে দাবি জানাচ্ছে।
আলোচনার জন্যে যেতে যেতে কেরী বল্লেন-সন্ত্রাসবাদ পরাভূত করতে দীর্ঘমেয়াদী কূটকৌশল দরকার তা সবাই জানি আমরা।সীমান্ত নিরাপত্তা এবং আইন বলবত কর্মসূচী ঐ লক্ষাভিমুখি গুরুত্বপূর্ণ অংশ একটি।তবে তার চেয়েও যেটা বেশি জরূরী তাহ’লো প্রথমত:ই তরুন বয়সিদেরকে বোঝাতে হবে--সন্ত্রাসমুখি হওয়া থেকে নিবৃত্ত করতে হবে তাদের।কেরীর সঙ্গে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল সিসির সঙ্গে দেখা হচ্ছে পরে,আজকেই।দু’ হাজার তেরোর নির্বাচীত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মোরসীর বহিস্করণের পরবর্তী সময়ে মিশরে মানবাধিকার ক্ষেত্রে যা যা ঘটেছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দারুণ চিন্তান্বিত। মোরসী সমর্থকসহ রাজনৈতিক মতাদর্শিদের বিরুদ্ধে মিশরের নির্মম আচরণ নিয়ে কেরী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা বলছেন।মিশর সরকার মোরসীকে জেলে পুরেছে- মূসলীম ব্রাদারহুডের হাজার হাজার সমর্থককে কারাগারে পাঠিয়েছে। মানবাধিকার মতাদর্শি ও সাংবাদিকদের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ নিয়ে কেরী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথাটাও তুলতে পারেন।ফ্রিলান্স সাংবাদিক-প্রামান্য চিত্রের নির্মাতা হামাদা এলরাসাম বলেন-প্রেসিডেন্ট এল সিসির সরকার সাংবাদিকদের কাজকর্মের নজরদারি করতে লেগেছে জোরেশোরে।বলেন- আমার সেলফোন কব্জা করে দেখতে চেষ্টা করেছিলো তারা আমি কিভাবে বিক্ষোভ সংবাদ পরিবেশন করছি- কিভাবে সোস্যাল মিডিয়াতে লেখালেখি করছি আমি।
ওদিকে,মিশরের সঙ্গে সংলাপের পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিভাগীয় এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী টম মালিনৌস্কী মিশরের সূশীল সমাজের ও রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্যবৃন্দের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন- আলোচনা চালাচ্ছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে এবং দক্ষিন এশিয়ায় কেরীর পাঁচ দেশ সফরের প্রথম পর্যায়ে কেরী এখন রয়েছেন মিশর সফরে।মিশর থেকে কেরী কাতার যাবেন – সোমবার সেখানে ছ’ জাতি উপসাগরীয় পরিষদের সঙ্গে ইরান-পারমানবিক কর্মসূচী নিয়ে তাঁর আলোচনা হবে।দোহাতেই কেরীর আলোচনা হবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরফের সঙ্গে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে।ইরাক ও সিরিযায় ইসলামিক স্টেইট জঙ্গিদের তৎপরতা রোধের ব্যাপারে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে।য়ুক্রেইন অসন্তোষ নিয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ব’লছেন।
কাতার থেকে কেরী যাবেন সিঙ্গাপুর – যাবেন তিনি মরেলয়েশিয়া ও ভিয়েতনামে। শুল্কহ্রাস ও বানিজ্য বিধিনিষেধ প্রশমন নিয়ে ঐ তিনটি দেশ এখন আন্ত,প্রশান্ত মহাসাগরীয় শরিকানা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট রয়েছে কুলালামপুরে,
দক্ষিনপুর্ব এশিয় দেশ সমুহের সংস্থা আসিয়ান আয়োজিত এক অধিবেশনেও যোগ দেবেন কেরী।কেরী হ্যানয় যাবেন ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনামের মধ্যে যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো তারই বিশতম বার্ষিকীতে যোগদান উপলক্ষে।