যুক্তরাষ্ট্রের ২শো ৩৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম, নৌবাহিনীর দ্বিতীয় শীর্ষ পদমর্যাদায় একজন মহিলা দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। এ্যাডমিরাল মিশেল হাওয়ার্ড নৌবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে কাজে যোগ দিয়ে তার কর্মজীবনে আর এক ইতিহাস সৃষ্টি করলেন।
এ সম্পর্কে ভয়েস অফ আমেরিকার জ্লাতিকা হোক-এর রিপোর্ট থেকে বিস্তারিত শোনাচ্ছেন রোকেয়া হায়দার।
যুক্তরাষ্ট্রের ২শো ৩৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম, নৌবাহিনীর দ্বিতীয় শীর্ষ পদমর্যাদায় একজন মহিলা দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। এ্যাডমিরাল মিশেল হাওয়ার্ড নৌবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে কাজে যোগ দিয়ে তার কর্মজীবনে আর এক ইতিহাস সৃষ্টি করলেন।
এ সম্পর্কে ভয়েস অফ আমেরিকার জ্লাতিকা হোক-এর রিপোর্ট থেকে বিস্তারিত শোনাচ্ছেন রোকেয়া হায়দার
আর্লিংটন জাতীয় সমাধিস্থলে আমেরিকার নৌবাহিনীর মিশেল হাওয়ার্ড তার পেশায় চতুর্থ তারকা গ্রহণ করলেন। সেই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তার পরিবার ও সহকর্মীরা। এ্যাডমিরাল হাওয়ার্ড বললেন ঃ
‘আপনারা যদি বিশ্বাস না করেন যে আজই এই প্রথম ঘটনা ঘটলো—তবে বলবো সেটাই ঘটেছে, কোন মহিলার পোশাকে কাঁধের কাছে চারটি তারকা শোভা পাচ্ছে – যা আগে কখনও ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর ইতিহাসে বিশেষভাবে তৈরী করা এই তারকা।
নৌবাহিনী প্রধান রে মেবাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তার বক্তব্য – ‘নৌবাহিনী শ্রেষ্ঠ অফিসারকে ভিসিএনও হিসেবে বেছে নিয়েছে। আর আজ সেই ঘটনাই আপনারা দেখছেন’।
ভিসিএনও অর্থাত্ ভাইস চীফ অফ নাভাল অপারেশনস।
এ্যাডমিরাল হাওয়ার্ড ১৯৮২ সালে নৌ একাডেমী থেকে গ্রাজুয়েট করার পর তার পেশাগত জীবনে অনেক প্রথম সাফল্য অর্জন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনীতে তিন তারকা মর্যাদা লাভে, তিনি প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান মহিলা, আর নৌ বাহিনীতেও তিনি প্রথম এই সাফল্য পেলেন। নৌবাহিনীর জাহাজের কমাণ্ডারের দায়িত্বে তিনিই প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান মহিলা।
এই সম্মানের অর্থ তার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। সবাই তাকে এক আদর্শ হিসেবে দেখবে। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তিনি পেন্টাগনে ছিলেন। এবং ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের যে বাণিজ্য জাহাজের ওপর হামলা চালিয়ে সোমালি জলদস্যুরা ক্যাপ্টেন রিচার্ড ফিলিপসকে অপহরণ করেছিল, তার উদ্ধার কাজে নিয়োজিত নৌবাহিনীর টাস্ক ফোর্সের সদস্য ছিলেন মিশেল হাওয়ার্ড।