মানব পাচার সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের ২০১৫ সালের প্রতিবেদন যা সোমবার প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী তার বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, মানব পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ এখনো ন্যূনতম মানদন্ড পুরোপুরি পালন এবং রক্ষা করতে পারেনি। যদিও নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে ২০১২ সালে মানব পাচার প্রতিরোধ আইন প্রণয়নের কাজ হাতে নেয়া হলেও তা চূড়ান্ত বাস্তবায়ন করা যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নারী, শিশু ও মানব পাচার এবং জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা ও যৌন কাজে পাচারের প্রাথমিকস্থল আর ট্রানজিট হিসেবেই বাংলাদেশ ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গারা মানব পাচারের ক্ষেত্রে ব্যাপক ঝুকিতে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণভাবেও জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করাসহ নানা বঞ্চনার ঘটনা ঘটছে। শিশু এবং নারীরা এর সবচেয়ে বড় শিকার। উল্লেখ্য, মানব পাচার সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বছর নিয়ে টানা ৪ বছর দ্বিতীয়স্তরেই রয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ সাম্প্রতিককালে মানব পাচারের অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে পরিণত হয়েছে।
অবৈধভাবে জীবন বিনাশী ও ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় বাংলাদেশীসহ অনেক অভিবাসন প্রত্যাশী জীবন হারিয়েছেন। মৃত্যুর পরেও হয়েছেন পরিচয়বিহীন। অনেকেই হারিয়েছেন তাদের সহায়-সম্বল সবকিছু। এদেরই একজন সাতক্ষীরার মো. কামারুজ্জামান পৌছে গিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ায় এবং তিনি জানালেন তার সেই দুঃস্বপ্নের কথা। ...ঢাকা থেকে আমীর খসরু