শরীফ-উল-হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
জীবনের মধ্যে আর এক জীবন। যাকে আমরা বলি হৃদযন্ত্র। এই হৃদযন্ত্রই মানব দেহকে সচল রাখে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে। বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষ্যে হৃতপিন্ডের কাজ, এর কি কি ধরনের রোগ হতে পারে এবং হৃতপিন্ডকে ভাল রাখার কৌশল নিয়ে আমরা বিস্তারিত কথা বলেছিলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিয়াক সার্জারী বিভাগের মেডিকেল অফিসার এবং কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি-ক্যাম্পস এর প্রেস সচিব ডা. সাকলায়েন রাসেল এর সাথে।
প্রতিটি মানুষের বুকের বাম পাশে হৃতপিন্ডের অবস্থান। হৃতপিন্ডের মূল কাজ হচ্ছে বিশুদ্ধ রক্তকে সারা শরীরে প্রবাহিত করা। দূষিত রক্ত বিশুদ্ধ হয়ে হৃতপিন্ডে প্রবেশ করে, হৃতপিন্ড প্রতি মিনিটে ৭২বার সংকুচিত-প্রসারিত হয়ে বিশুদ্ধ রক্ত শরীরের প্রত্যেকটি কোষে পৌঁছে দেয়। সাধারণ ভাষায় আমরা হৃতপিন্ড’কে আমরা পাম্প এর সাথে তুলনা করতে পারি।
বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ হতে পারে মানুষের।প্রাথমিক অবস্থায় দুটি পর্যায়ে হৃদরোগকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জন্মগত এবং পরর্বতীতে আক্রান্তের সম্ভবনা। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের মাঝে উচ্চ রক্তচাপের প্রাদুর্ভাব ২০ থেকে ২৫ শতাংশ এবং প্রতি হাজারে ৮জন শিশু জন্মগত ভাবে হৃদরোগ নিয়ে জন্মায়। এছাড়া মহিলাদের মধ্যে বাতজ্বরজনিত হৃদরোগের হারও আশঙ্কাজনক।
বিশ্বজুড়ে হৃদরোগ একটি প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা। হৃদরোগের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, বাতজ্বর, গাটের ফোলা ও ব্যথা এবং জন্মগত হৃতপিন্ডের সমস্যা গুলোই প্রধান। সমাজে একটি ধারণা প্রচলিত আছে ধনীদেরই হৃদরোগ হয়, এটা ঠিক নয়। যেকোন বয়সে যে কেউ হৃদরোগে আত্রান্ত হতে পারেন। একজন মানুষ হৃদরোগী হবে কিনা সেটা তার ছোটবেলা থেকেই অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যায়। আজকাল অনেক শিশু দেখা যায় স্থূলতা সমস্যায় ভোগে। স্থূল শিশুদের হৃদরোগে আত্রান্ত হবার সম্ভবনা বেশি থাকে।
হার্ট ভাল রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে সচেতনতার। আমরা নিজেরা যদি সুস্থ্য সবল জীবন যাপন করতে চাই তাহলে জানতে হবে কিভাবে ভাল রাখা যায় হৃদযন্ত্রকে। একটু শারীরিক পরিশ্রম, একটু নিয়ম মেনে খাদ্যাভাস এনে দিতে পারে আমাদের সুন্দর-স্বাভাবিক-রোগমুক্ত জীবন। আর যাদের ধুমপানের অভ্যাস আছে তাদের সম্পূর্ন ভাবে ধুমপানে ত্যাগ করতে হবে। মানসিক পরিশ্রমের চাইতে শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা বাড়াতে হবে। রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়।
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
জীবনের মধ্যে আর এক জীবন। যাকে আমরা বলি হৃদযন্ত্র। এই হৃদযন্ত্রই মানব দেহকে সচল রাখে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে। বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষ্যে হৃতপিন্ডের কাজ, এর কি কি ধরনের রোগ হতে পারে এবং হৃতপিন্ডকে ভাল রাখার কৌশল নিয়ে আমরা বিস্তারিত কথা বলেছিলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিয়াক সার্জারী বিভাগের মেডিকেল অফিসার এবং কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি-ক্যাম্পস এর প্রেস সচিব ডা. সাকলায়েন রাসেল এর সাথে।
প্রতিটি মানুষের বুকের বাম পাশে হৃতপিন্ডের অবস্থান। হৃতপিন্ডের মূল কাজ হচ্ছে বিশুদ্ধ রক্তকে সারা শরীরে প্রবাহিত করা। দূষিত রক্ত বিশুদ্ধ হয়ে হৃতপিন্ডে প্রবেশ করে, হৃতপিন্ড প্রতি মিনিটে ৭২বার সংকুচিত-প্রসারিত হয়ে বিশুদ্ধ রক্ত শরীরের প্রত্যেকটি কোষে পৌঁছে দেয়। সাধারণ ভাষায় আমরা হৃতপিন্ড’কে আমরা পাম্প এর সাথে তুলনা করতে পারি।
বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ হতে পারে মানুষের।প্রাথমিক অবস্থায় দুটি পর্যায়ে হৃদরোগকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জন্মগত এবং পরর্বতীতে আক্রান্তের সম্ভবনা। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের মাঝে উচ্চ রক্তচাপের প্রাদুর্ভাব ২০ থেকে ২৫ শতাংশ এবং প্রতি হাজারে ৮জন শিশু জন্মগত ভাবে হৃদরোগ নিয়ে জন্মায়। এছাড়া মহিলাদের মধ্যে বাতজ্বরজনিত হৃদরোগের হারও আশঙ্কাজনক।
বিশ্বজুড়ে হৃদরোগ একটি প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা। হৃদরোগের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, বাতজ্বর, গাটের ফোলা ও ব্যথা এবং জন্মগত হৃতপিন্ডের সমস্যা গুলোই প্রধান। সমাজে একটি ধারণা প্রচলিত আছে ধনীদেরই হৃদরোগ হয়, এটা ঠিক নয়। যেকোন বয়সে যে কেউ হৃদরোগে আত্রান্ত হতে পারেন। একজন মানুষ হৃদরোগী হবে কিনা সেটা তার ছোটবেলা থেকেই অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যায়। আজকাল অনেক শিশু দেখা যায় স্থূলতা সমস্যায় ভোগে। স্থূল শিশুদের হৃদরোগে আত্রান্ত হবার সম্ভবনা বেশি থাকে।
হার্ট ভাল রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে সচেতনতার। আমরা নিজেরা যদি সুস্থ্য সবল জীবন যাপন করতে চাই তাহলে জানতে হবে কিভাবে ভাল রাখা যায় হৃদযন্ত্রকে। একটু শারীরিক পরিশ্রম, একটু নিয়ম মেনে খাদ্যাভাস এনে দিতে পারে আমাদের সুন্দর-স্বাভাবিক-রোগমুক্ত জীবন। আর যাদের ধুমপানের অভ্যাস আছে তাদের সম্পূর্ন ভাবে ধুমপানে ত্যাগ করতে হবে। মানসিক পরিশ্রমের চাইতে শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা বাড়াতে হবে। রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়।