অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

 দু'টি কেন্দ্রীয় আদালত প্রেসিডেন্টের ভ্রমণ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ স্থগিত করল


যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় দুইটি আদালত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় বারের ভ্রমণ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশটি সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

নির্বাহী ঐ আদেশের ভিত্তিতে কারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে তা নির্ধারিত হবে। হাওয়াই রাজ্যের এক বিচারক শরণার্থীদের এদেশে প্রবেশের আবেদন এবং ছয়টি দেশের নাগরিকদের নতুন ভিসা প্রদানের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারী সম্পর্কিত দু’টি আদেশই স্থগিত করেছেন। বৃহস্পতিবার, ম্যারিল্যান্ড রাজ্যেও ট্রাম্পেরআদেশের অংশ বিশেষের ওপরে আলাদা ভাবে ইঞ্জাংশন জারী করেছে।

হাওয়াই রাজ্যের বিচারক ডেরিক ওয়াটসন বুধবার সংশোধিত আকারে দেওয়া ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছেন।বলা হয়েছে সংবিধানের এষ্টাবলিশম্যান্ট অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা হয়েছে কারণ যেখানে প্রাথমিক ভাবে বলা আছে সরকারেরধর্মনিরপেক্ষথাকা প্রয়োজন। নভেম্বর মাসে নির্বাচনের আগে এবং পরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সহযোগী এবং ট্রাম্প যেসববিবৃতি দিয়ে ছিলেন সেসবও তিনিউল্লেখ করেন।তিনি বলেন, ট্রাম্পের প্রচার অভিযানও একসময় সারা আমেরিকা থেকে সকল মুসলমানদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারীর আহ্বান জানায়। যে দেশগুলোতে সন্ত্রাসের সংগে যোগ রয়েছে সেসব দেশেরমানুষের উপরেনীতিটি পরে চরম ভাবে সমর্থন লাভেরদিকে এগিয়ে গিয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছেদেশকে সন্ত্রাসবাদের হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য এই নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন রয়েছে । ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়া এবং সোমালিয়ার নাগরিকীদের ভিসা দেওয়া তিন মাস স্থগিত করা এবং চার মাস যে কোন শরণার্থীকে এ দেশে প্রবেশ করতেদেওয়াহবে না । ঐ আদেশটি বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করার কথা ছিল যা বলবতকরার আগেই স্থগিত করা হ’ল।

ভ্রমণ বিষয়ক ট্রাম্পের প্রথম নির্বাহী আদেশে সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, গত ৬ মার্চ জারি করা দ্বিতীয় দফার আদেশে ইরাককে বাদ দেয়া হয়।

বাকি ছয়টি দেশ হল ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়া এবং সোমালিয়া। নতুন আদেশ অনুযায়ী ঐ দেশগুলোর ওপর ৯০ দিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে এবং শরণার্থীদের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ রাখা হয়েছে ১২০ দিন। এর আগে যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছিল সেখানে ইরাকও অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু একটি অনুচ্ছেদে ঐ দেশে ধর্মীয় সংখ্যা লঘু থাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থেকে ইরাককে বাদ দেওয়া হয়েছে

তবে বিচারক ওয়াটসন সরকারের সব ধরনের যুক্তি নাকচ করে দেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেনআদালতেরজারি করা ঐ আদেশের ফলে অ্যামেরিকাকে দুর্বল করে দেবে এবং সে কারণে তিনি আইনি যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন।টেনেসিতে এক সমাবেশে তিনি বলেন,"পরিস্থিতি যেবিপদ জনক তা পরিষ্কার, আইনও স্বচ্ছআরআমার নির্বাহী আদেশটিওসুস্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।"

হাওয়াইসহ, আরও কয়েকটি রাজ্যে নতুন ঐ নির্বাহী আদেশটি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে এবং এর পাশাপাশি নাগরিক অধিকার দলগুলো ট্রাম্পের মুল আদেশটি অসাংবিধানিক বলে তার বিরোধিতা করেছে। অ্যামেরিকান সিভিল লিবার্টিয়ের ইউনিয়নের আইন বিষয়ক সহ পরিচালক মঙ্গলবার বলেন,প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মুসলমানদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিষয়ে তার জারি করাপ্রথম ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থেকে খুব বেশীসরে যেতে পারবেন না । তিনি তারমুলআদেশে ধর্মের ওপরে ভিত্তি করে মুসলমানদেরবিরুদ্ধে যে বৈষম্য করেছেন সেটা কিন্তু মুছে ফেলতে পারবেন না।

XS
SM
MD
LG