অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইয়েমেন সংকটঃ একটি বিশেষ প্রতিবেদন


মিশরের শার্ম এল শেখে দুদিনের আরব শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে। সেখানে নেতারা ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।এ সম্পর্কে আমাদের সংবাদ কক্ষের খবর এবং ওয়াশিংটন পোস্টের এক্সপ্রেস পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে লেখা একটি রিপোর্ট।

আরব লীগ, মিশরের শার্ম এল শেখে, দুদিনের শীর্ষ সম্মেলন করেন। আলোচ্য বিষয় ছিল ইয়েমেনে হুতিদের বিদ্রোহ ও তাদের প্রতি ইরানের সমর্থন এবং তা কিভাবে মোকাবেলা করা যায়।

ওই অঞ্চলে ইরানের প্রভাব বেড়ে যাচ্ছে। আরব নেতারা মনে করেন ইরাক, সিরিয়া, লেবানন এবং এখন ইয়েমেনে ইরান তাদের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করেছে। আরব নেতারা যে বিষয়ে উদ্বিগ্ন তা হচ্ছে বিদেশীরা বা বহিরাগতরা আরব রাষ্ট্রগুলোতে সাম্প্রদায়িক বিভাজনে উষ্কানি দিচ্ছে।

ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীরা গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নেয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তারা বন্দর নগর এডেনে অগ্রসর হয়। ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর হাদী এডেনে গিয়েছিলেন যাতে সেখান থেকে তিনি শাসন করতে পারেন কিন্তু তিনি গত সপ্তাহে ইয়েমেন ত্যাগ করেন এবং রিয়াদে যান।

শীর্ষ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট হাদী ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে তারাই হুতি বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিচ্ছে ও হামলার পেছনে রয়েছে। ইরান এবং হুতিরা অস্বীকার করে যে ইরান তাদের অস্ত্র দিচ্ছে। তবে এটা তারা স্বীকার করে যে ইরান তাদেরকে মানবিক ও অন্যান্য এ্রাণ সাহায্য দিচ্ছে।

শীর্ষ সম্মেলনে যে যৌথ বাহিনী গঠনের পরিকল্পনার কথা বলা হয়, সে সম্পর্কে মিশরের কর্মকর্তারা বলেছেন ওই বাহিনীতে ৪০ হাজার বিশিষ্ট সেনা থাকবে। ওই বাহিনীর সদর দফতর হবে মিশরের রাজধানী কায়রো অথবা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। জঙ্গী জেট বিমানবহর, রণতরী এবং হাল্কা সমরাস্ত্রের সাহায্যে ওই বাহিনী তাদের অভিযান চালাবে।

সৌদি আরবের নেতৃত্বে কোয়ালিশন ইতিমধ্যেই বিমান আক্রমণ চালিয়েছে। রিয়াদে প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেছেন যে কোয়ালিশন বাহিনীর হামলায় প্রথম দিনগুলোতেই ইয়েমেনের জঙ্গী বিমান বহর ধ্বংশ হয়ে যায় এবং সামরিক কম্যান্ড কেন্দ্র অকেজো হয়ে পড়ে। এর ফলে হুতি বিদ্রোহীদের প্রচন্ড ক্ষতি হয়। সৌদি বার্তা সংস্থায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ বিন হাসান আসিরি বলেছেন বিমান আক্রমণে হুতিদের কম্যান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলোর অধিকাংশই ধ্বংশ হয়ে যায়।

আরব লীগের মহাসচিব নাবিল এলারাবি রবিবার বলেছেন মি হাদীর বৈধ সরকারকে পুনর প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

শীর্ষ সম্মেলনে যে যৌথ আরব সামরিক বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তারা ওই অঞ্চলে, সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো যে হুমকি সৃষ্টি করছে তা মোকাবেলা করবে। কয়েক মাস সময় লাগবে ওই প্রক্রিয়ার খুটিনাটি ঠিক করতে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:03:02 0:00
সরাসরি লিংক

XS
SM
MD
LG