সংঘাতপূর্ণ ইউক্রেন সীমান্তে গত বৃহষ্পতিবার বিধ্বস্ত মালয়েশিয়ার বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন প্রায় ১শো এইডস গবেষক-বিজ্ঞানী-বিশেষজ্ঞ, এইডস কর্মী। মর্মান্তিক এই ঘটনা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ণে ২০১৪ সালের এইডস শীর্ষ সম্মেলনের ওপর ছায়া ফেলেছে। আগামী এক সপ্তাহ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১২শো প্রতিনিধি এইডস শীর্ষ সম্মেলনে এইচআইভি ভাইরাস এবং এইডস রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবেন, চিকিত্সা গবেষণার ফলাফল জানাবেন।
ভয়াবহ এইডস রোগে আক্রান্ত অনেকেই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। তারা তাদের কথা বলবেন। ইন্দোনেশিয়া থেকে যোগ দিয়েছেন আইউ ওকতারিনি, তিনি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত কিন্তু সেদেশে তারই মত অসুস্থ মহিলাদের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ান পজিটিভ ওম্যানস নেটওয়ার্কের পরিচালক মণ্ডলীর সদস্য। তিনি বলেন, গোটা বিশ্বে এবং আমাদের অঞ্চলে যা ঘটছে অর্থাত্ যারা এইচআইভি ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে, তাদের সমস্যাটা হচ্ছে এই রোগ কিভাবে ছড়ায়, কি উপায়ে তা প্রতিরোধ করা যেতে পারে আমরা তা কিছুই জানিনা। ইন্দোনেশিয়া মুসলিম দেশ কিন্তু চারপাশেই রয়েছে – হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, আর আমার মত তারা সবাই এই সমস্যার সম্মুখীন। তার কথা কেবল বিজ্ঞানের গবেষণা থেকেই এইডস রোধ করা যাবে না, এইডস রোগীরা যে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে তা সবার কাছে তুলে ধরতে হবে। সমাজকে সচেতন ও সংবেদনশীল হতে হবে।
এবারের সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নির্মূল করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। কেউ যাতে এই মারাত্মক ভাইরাস নিয়ে জন্মগ্রহণ না করে, কেউ যাতে এইডসের বোঝা নিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় মারা না যায়, সেটাই কাম্য।