যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাসি কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুজাহিদের মরদেহ তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়ী যথাক্রমে চট্টগ্রামের রাউজান এবং ফরিদপুরের খাবাসপুরে রোববার কড়া নিরাপত্তায় দাফন করা হয়েছে। খবর সংগ্রহ করে ফেরার পথে রাউজানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে একজন টেলিভিশন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। জামায়েত ইসলামী সোমবার দেশব্যাপী হরতাল আহবান করেছে। গণজাগরণ মঞ্চ ঢাকায় আনন্দ মিছিল বের করে। এদিকে, শনিবার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ওই দু’জন নেতা প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন কিনা সে প্রশ্নে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। তারা প্রাণভিক্ষা চাননি বলে শনিবার রাতে দাবি করেন ওই দুই পরিবারের সদস্যরা। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী বলেছেন, তারা প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য এ কথা বলা হচ্ছে।
মন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেছেন, দোষ স্বীকার করে প্রাণভিক্ষার আবেদনের মাধ্যমে জামায়াত নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া মজুবত হয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে জামায়াত প্রধান মতিউর রহমান নিজামীর মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে। দেশজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।...ঢাকা থেকে আমীর খসরু