অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস


শরীফ উল হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায়- ইউএসএআইডি এবং ভয়েস অব আমেরিকা

মশাবাহিত সংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে, ম্যালেরিয়া অন্যতম। যার জন্য দায়ী প্লাজমোডিয়াম গোত্রের প্রোটিস্ট নামের একটি অণুজীব। এনোফিলিস নামক স্ত্রী মশার কামড়ে এই রোগ হয়। ম্যালেরিয়া রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিবছরের মত এবারো বাংলাদেশে পালিত হতে যাচ্ছে ‘বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস’২০১৫। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য Invest in the future, defeat malaria. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার, ডা.আঞ্জুমান আমাদের বললেন,যেহেতু মশার কামড়ে এই রোগটি হয় এবং জ্বর এর প্রধান লক্ষণ তাই ম্যালেরিয়া জ্বর নামেই প্রচলিত রোগটি। এনোফিলিস নামক এক ধরনের মশা যাদের স্ত্রী প্রজাতির কামড়ে ম্যালেরিয়ার জীবানু ছড়ায়।

কিভাবে বুঝবেন ম্যালেরিয়া হয়েছে কিনা? ডা.আঞ্জুমান বললেন লক্ষণ গুলো। দুইদিনের বেশী কাপুনিসহ জ্বর কিংবা হজমের গোলযোগ দেখা যায়। শরীরে ক্লান্তি আসে। এছাড়াও রক্ত শূণ্যতা, কিডনি সমস্যা, শ্বাস কষ্ট, জন্ডিস, খিঁচুনি, রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়।

এমডিজি‘র লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০১৫ সালের ভেতরে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর হার ৬০ শতাংশে কমিয়ে আনার কথা থাকলেও বাংলাদেশ ২০১২ সালে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ২০১২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে এ সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৫৬ লাখ। আর বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছেন ১ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ।।

রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে হলে কিছুটা নিজেরও সচেতনতা প্রয়োজন। বাড়ির বাইরে গাছের টব ও জলাধার গুলো শুকনো ও পানি শূন্য রাখা,যেসব জিনিসে বৃষ্টির পানি জমে, যেমন ফ্রিজের নিচের ট্রে,ফুল দানিতে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখাঁ। ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা পাবেন সব ধরনের হাসপাতালে।বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল এবং পাহাড়ী এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রাদূর্ভাব বেশী তাই থানা স্বাস্থ কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক অথবা জেলা হাসপাতালগুলোতে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা পাওয়া যায়। প্রথমেই দরকার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা করা। যদি ম্যালেরিয়া ধরা পরে তাহলে উদ্বিগ্ন না হয়ে,সঠিক চিকিৎসা নিলেই ম্যালেরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

এমডিজি অর্জিত হয়েছে ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে। এখন লক্ষ্য ম্যালেরিয়া মুক্ত বাংলাদেশ। যা সবার সহযোগিতায়,খুব দ্রুত অর্জন করা সম্ভব।

XS
SM
MD
LG