ইউনিসেফ, বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা বিআইডিএস-এর যৌথ গবেষণায় বলা হয়েছে, বাল্যবিবাহ, শিশু শ্রম ও বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু এবং এর মধ্যে বিরাজমান বৈষম্যের কারণে বাংলাদেশের শিশুদের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে।
গবেষণায় বলা হয়, শিশু শ্রমে নিয়োজিতরা সাধারণত কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে কাজ করে থাকে। শ্রমে নিযুক্ত ১০ থেকে ১৪ বছরের ১০ লাখ শিশুর বেশির ভাগ কৃষি খাতে এবং আরেকটি বড় অংশ সেবা খাতে কর্মরত। গবেষণায় বলা হয়, বাল্যবিবাহ বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী মহিলাদের অর্ধেকের বেশি ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে হয় এবং এদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজনের বিয়ে হয় ১৫ বছর বয়সের আগেই।
গবেষণায় সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মেয়েদের স্কুলে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে সংবাদদাতা আমীর খসরু অন্য আরেকটি রিপোর্টে জানাচ্ছেন ঃ ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের প্রভাবশালী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি বা এমসিসিআই বিদ্যমান অর্থনীতি ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পর্কে এক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগে আস্থা ফিরে না আসার কথা উল্লেখ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ধীরে চলো কৌশল গ্রহণ করেছে এবং এটি করা হচ্ছে ২০১৩ সাল থেকে। প্রতিবেদনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, বিদ্যুৎ-গ্যাসের সংকটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার সাথে রাজনৈতিক অস্থিরতাকেও দায়ী করা হয়েছে।
এমসিসিআই বলছে, দেশে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে যখন স্থবিরতা চলছে, সরকার তখন নিজেই বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। কিন্তু এমনটি বেসরকারি বিনিয়োগের বিকল্প হতে পারে না। এমসিসিআই বলেছে, স্বল্প মধ্য আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হতে গেলে অর্থনীতির কর্মকাণ্ডের গতি বৃদ্ধি, উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি।