আজ আমাদের কল ইন শো হ্যালো ওয়াশিংটনের বিষয় হ্চছে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষমাত্রা: সাফল্য ও সম্ভাবনা । আপনাদের জিজ্ঞাসা এবং আমাদের বিশিষ্ট অতিথিদের জবাবের এই আসরে আপনাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা । আজ আমাদের অতিথি প্যানেলে টেলি সম্মিলনী লাইনে যোগ দিয়েছেন ঢাকা থেকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য , যিনি সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষমাত্রা নিয়ে কাজ করছেন , সেই জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী। রয়েছেন বর্তমানে ঢাকাতেই অবস্থানরত , জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির দারিদ্র বিমোচন বিষয়ক পরিচালক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবদ ড সেলিম জাহান । আরও রয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক , বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড মুস্তাফিজুর রহমান।
শতাব্দির পরিবর্তনে , বলা যায় , সহস্রাব্দের পরিবর্তনেও ২০০০ সাল থেকে শুরু হলো মানুষের নতুন করে স্বপ্ন দেখা। গত শতকের অর্ধেকের ও বেশি সময় ধরে কখনও উত্তপ্ত যুদ্ধ বিগ্রহ , কখনও বা শীতল যুদ্ধে সময় কেটেছে বাক বিতন্ডায়। সহস্রাব্দের পরিবর্তন অতএব এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে বিশ্ববাসীর সামনে যদি ও বলে রাখা দরকার যে যেমনটি শান্তি প্রত্যাশা করা গিয়েছিল ২০০০ সালে , ২০০১ সালের ১১ ই সেপ্টম্বর সেই আশার চালচিত্র সম্পূর্ণ ভাবে বিনষ্ট হয় এবং কেবল গুণগত নয় , প্রকৃতিগত পরিবর্তন অনাকাঙ্খিত পরিবর্তন আসে। তা সত্বেও উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়নের আশায় এখনও উজ্জীবিত বিশ্ব। এই মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রায় রয়েছে আটটি বিষয়। চরম দারিদ্র মোচন থেকে শুরু করে উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী সহেযাগী সম্পর্ক গড়ে তোলা পর্যন্ত বিভিন্ন লক্ষ স্থির করা হয়। প্রতি বছরই জাতিসংঘ মূল্যায়ন করে এই সব লক্ষ্য মাত্রা। এর সঙ্গে যুক্ত হয় জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি সম্পর্কিত বিবিধ বিষয়। এই তো গতকালই ঢাকায় সম্পন্ন হলো সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রার দু দিনব্যাপী বৃহত্তর আঞ্চলিক একটি ফোরাম যেখানে কেবল যে লক্ষমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়টির মূ্ল্যায়ন করা হয়েছে তাই-ই নয় , ২০১৫ সালের পরের সম্ভাব্য পরিকল্পনা ও আলোচনায় এসছে। এ সব কিছুর আলোকে আপনাদের জিজ্ঞাসা এবং আমাদের বিশিষ্ট অতিথীদের জবাবের মধ্য থেকে জেনে নেবো ।