নিউইয়র্কভিত্তিক কমিটি টু প্রটেক্ট জার্ণালিস্ট সংস্থা, সিরিয় উগ্রবাদীদের হাতে নিহত আমেরিকান সাংবাদিক জেমস ফলির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছে। সিপিজের ভাষ্যে, সকল সংবাদ সংস্থার উচিত বিপজ্জনক অঞ্চলে সাংবাদিকদের পাঠানোর আগে তাদেরকে বিপদের ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য যথাসম্ভব প্রস্তুত থাকার ব্যবস্থা করা।
এই পরিস্থিতি নিয়ে রোকেয়া হায়দার কথা বলেছেন সিপিজের এ্যাডভোকেসি পরিচালক কোর্টনী রাদের সঙ্গে। আসুন শোনা যাক।
জেমস ফোলিকে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে অপহরণ করা হয় এবং সম্প্রতি উগ্রবাদীরা তাকে হত্যা করেছে। এই নির্মম ঘটনা জানার পর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জাতিসংঘ মহাসচীব বান কি মুনসহ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবর্গ, বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র নিন্দা, সমালোচনা করা হচ্ছে।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্ণালিস্টের পক্ষে এ্যাডভোকেসি পরিচালক কোর্টনী রাদ বললেন,
‘জেমস ফলির হত্যাকাণ্ডে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্ণালিস্ট দারুণ উদ্বিগ্ন। এবং সব সাংবাদিক, যারা ইসলামিক স্টেটের হাতে বন্দী রয়েছেন, যাদের বেশীরভাগ হলেন সিরিয়ান। আনুমানিক প্রায় ২০জন সাংবাদিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তাদের জন্য চিন্তিত’।
অন্য যারা এই ধরনের যুদ্ধবিগ্রহ, বিপজ্জনক জায়গায় গিয়ে খবরাখবর সংগ্রহ করছেন তাদের কিভাবে সতর্ক করা যায়? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিরিয়া হচ্ছে বর্তমানে সাংবাদিকদের জন্য সবচাইতে বিপজ্জনক স্থান। বিভিন্ন উগ্রবাদী গ্রুপ সাংবাদিকদের অপহরণ করছে, মেরে ফেলছে। তাই যে কোন সাংবাদিক, যারা সেখানে যাচ্ছেন তাদের খুবই সতর্ক থাকা উচিত। তারা কিধরণের পরিস্থিতিতে যাচ্ছেন সেটা তাদের উপলব্ধি করা উচিত। ঠিকমত প্রশিক্ষণ নিয়ে ভালভাবে তৈরী হয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনীয় সবকিছু সঙ্গে নিয়ে যাওয়া উচিত। জরুরী পরিস্থিতিতে কি করতে হবে তার জন্য তৈরী হয়ে যেতে হবে’।
যে সব বার্তা সংস্থা সাংবাদিকদের এমন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পাঠাচ্ছে তাদের দায়িত্বটা কি? কোর্টনীর বক্তব্য হচ্ছে - ‘যেসব বার্তা মাধ্যম সংস্থা তাদের সাংবাদিকদের খবরাখবর জানার ও জানাবার জন্য এই ধরণের বিপজ্জনক জায়গায় পাঠায়, তাদের দায়িত্ব হচ্ছে – সবধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য যন্ত্রসরঞ্জামের ব্যবস্থা করে দেওয়া। তিনি বলেন, যেমন গত ১৫ বছরে আমরা দেখেছি এমন জরুরী পরিস্থিতি বা সংকটপূর্ণ জায়গায় যাবার জন্য সাংবাদিকদের ভালভাবেই প্রস্তুত থাকার ব্যবস্থা করা হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা নেটওয়ার্ক বসানোর সরঞ্জাম রাখার, সবকিছুই করা হচ্ছে।
তবে সকল প্রস্তুতি, সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও সবসময় এই ধরণের মর্মান্তিক পরিস্থিতি রোধ করাটা সম্ভব হয়না।