অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শতভাগ সাফল্যের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে টিকাদান কর্মসূচী


শতভাগ সাফল্যের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে টিকাদান কর্মসূচী
শতভাগ সাফল্যের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে টিকাদান কর্মসূচী

আঙ্গুর নাহার মন্টি

ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার

সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা

বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচী দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য দেখিয়েছে। আর এ সাফল্যই বাংলাদেশকে এমডিজি’র লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের ৮২ শতাংশ শিশুকে টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচীর (ইপিআই) মাধ্যমে এই সাফল্য শতভাগ নিশ্চিত করতে কাজ করছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ।

দেশের টিকাদান কর্মসূচী প্রসঙ্গে ইপিআই কর্মসূচীর সহকারী পরিচালক ড. মো. তাজুল ইসলাম বারী জানালেন, ১৯৭৯ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশে ইপিআই কর্মসূচী শুরু হয়। এর আওতায় বড় বড় হাসপাতালগুলোর মাধ্যমে প্রতি ১০০ জনে মাত্র ২ জন শিশুকে টিকা দেয়া সম্ভব হতো। তাই ১৯৮৫ সালে প্রত্যেক শিশুকে এই কর্মসূচীর আওতায় আনতে নতুন কৌশল নির্ধারণ করা হয়। এতে এক বছরের কম বয়সী শিশুদের সকল টিকা নিশ্চিত করতে উপজেলা পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচী বাড়ানো হয়। পাশাপাশি নবজাতককে ধনুষ্টংকার থেকে রক্ষা করতে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী সন্তান ধারনক্ষম মেয়েদের টিটি টিকা দেওয়া শুরু হয়।

বর্তমানে এই কর্মসূচীর আওতায় পোলিও, যক্ষা, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস বি, হাম-রুবেলা এবং হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে টিকা দেয়া হচ্ছে। এক বছরের কম বয়সী শিশু এবং সন্তান ধারণক্ষম (১৫-৪৯ বৎসর) মেয়েরাই ইপিআই কর্মসূচীর টার্গেট গ্রুপ এ কথা জানিয়ে পরিচালক ড. তাজুল ইসলাম বারী বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশে ৩৫ লাখ শিশু জন্ম নিচ্ছে। এই এক বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্মের পরপরই যক্ষা থেকে রক্ষা করতে বিসিজি টিকা দেয়া হয়। ৬ সপ্তাহ বয়সে ডিপথেরিয়া, পাটুসিস, টিটেনাস, হেপাটাইপিস বি ও হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জাএই পাচঁ রোগ প্রতিরোধের টিকার প্রথম ডোজটি এক ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেয়া হয়। এরপর ১০ সপ্তাহে দ্বিতীয় ও ১৪ সপ্তাহ বয়সে তৃতীয় ডোজটি দেয়া হয়। এরসঙ্গে হাম-রুবেলার টিকাটি (এমআর) নয় মাস বয়সের পরে দেয়া হয়। এরপর শুধু রোবেলা প্রতিরোধের টিকাটি ১৫ মাস বয়সে দেয়া হয়ে গেলে বলা যাবে, শিশু সব টিকা পেয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, মেয়েদের ১৫ বছর হলেই টিটির প্রথম ডোজটি দেয়া হয়। আর এর একমাস পর দ্বিতীয় ডোজ, আরো ৬ মাস পর তৃতীয়, এর এক বছর পর চতুর্থ ডোজ এবং এরও এক বছর পর পঞ্চম ডোজ-এই পাচঁটি টিকা দিতে হবে। এই টিকা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগে ২ বছর সাত মাস। ১৫ বছর বয়সে শুরু করলে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সব টিকা নেয়া হয়ে যায়। ফলে ভবিষ্যতে টিকা সম্পন্ন করা মেয়েটি ও তার সন্তানের ধনুষ্টঙ্কার হবে না।

২০১৪ সালের মার্চে বাংলাদেশকে পোলিওমুক্ত দেশ ঘোষণা করা হলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে পোলিও থাকায় এই টিকাদান অব্যাহত রেখেছে সরকার। আগামী মাস থেকে নিউমোনিয়া ও পোলিও’র বিরুদ্ধে দুটি নতুন টিকা আসছে। বর্তমানে পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়। আর নতুন পোলিও টিকা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেয়া হবে। এছাড়াও মেয়েদের জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে নতুন আরো একটি টিকা আসছে যা জুন-জুলাই মাস থেকে পাইলট আকারে বাস্তবায়ন শুরু হবে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:03:32 0:00

XS
SM
MD
LG