আজ মঙ্গলবার ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সন্ত্রাসী হামলার একাদশ বার্ষিকী। এই বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, আবার সময় এসেছে সেই প্রায় তিন হাজার নিরাপরাধ মহিলা, পুরুষ ও শিশু যারা হারিয়ে গেছে, এবং তারা তাদের যে পরিবার রেখে গেছে, তাদেরকে স্মরণ করার দিন।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ‘এ হচ্ছে ওই দিনে এবং তারপর থেকে প্রতিদিনই যারা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বপ্রথম এগিয়ে গিয়েছিল, তাদের সাহসিকতার প্রতি সম্মান জানানোর সময় । এবং আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্য নারী পুরুষ, যারা আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য কাজ করেছেন এবং আত্মত্যাগ করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানানোর এক সুযোগ ’।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, সেপ্টেম্বরের সেই নির্মল এবং ভয়ংকর সকালে আমেরিকায় নানা প্রশ্নের দেখা দেয় । ‘সেই হামলা কোথা থেকে চালানো হলো? আমেরিকা কিভাবে তার জবাব দেবে? আমরা যে দেশটিকে ভালবাসি তা কি দূর্বল করে দেবে? আমাদের পরিচয় কি পরিবর্তন করে দেবে’?
মিঃ ওবামা বলেন, গত এক দশকের কঠিন সময়কালে আমেরিকা ওইসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছে এবং জাতি হিসেবে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আল কায়দার সঙ্গে যুদ্ধ করেছি, এবং তাদের নেতৃত্ব ভেঙ্গে দিয়েছি, তাদেরকে পরাস্ত করেছি। এবং আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ, ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীদের দক্ষতা ও সাহসিকতাকে সাধুবাদ জানাতে হয় যে তাদের জন্যই ওসামা বিন লাদেন আর কখনোই আমেরিকার জন্য হুমকীর সৃষ্টি করতে পারবে না’।
মিঃ ওবামা বলেন, ‘আমেরিকানরা একটা অবিশ্বাস আর সন্দেহের ধারণাকে রোধ করেছে এবং এ কথা উপলব্ধি করেছে যে, আমরা - আল কায়দা তার মিত্রদের সঙ্গে লড়াই করেছি’ ।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইসলাম অথবা কোন ধর্মের সঙ্গে আমাদের কখনো কোনই যুদ্ধ নেই। আমরা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র । আমাদের স্বাধীনতা ও বৈচিত্র্য আমাদেরকে অনন্য করে তুলেছে এবং সেটাই আমাদের জাতীয় পরিচিয়’।
মিঃ ওবামা বলেন, ওই হামলার ফলে আমেরিকার জনগনের সর্বোত্তম গুনাবলী প্রকাশ পেয়েছে, ওই সময় থেকে ৫০ লক্ষেরও বেশী আমেরিকান নাগরিক সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে, আমেরিকা ইরাকে যুদ্ধ শেষ করেছে এবং আফগানিস্তানে তালেবান শাসকগোষ্ঠির অবসান করেছে । মিঃ ওবামা বলেন, ‘আমরা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং নতুন আফগান সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছি। এবং সবশেষে আমরা দুঃখে ভেঙ্গে না পড়ে, মানুষ হিসেবে আমাদের পরিচয় তুলে ধরে, আমাদের মূল্যবোধ পুনরব্যক্ত করেছি, সমাজকে তাদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দিয়েছি’।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, নয়-এগারোর ১১ বছর পর, তার শিক্ষা হচ্ছে এই যে, ‘আমরা দৃঢ় আস্থার সঙ্গে বলতে পারি – কোন বৈরিতা এবং কোন সন্ত্রাসী তত্পরতা আমাদের পরিচিতি পরিবর্তন করতে পারে না । এই বিশেষ বার্ষিকীতে আসুন আমরা যাদের হারিয়েছি তাদেরকে স্মরণ করি, আসুন তারা যে সকল মূল্যবোধের জন্য রুখে দাঁড়িয়েছিল সে কথা স্মরণ করি এবং চলুন, আমরা একটি জাতি হিসেবে – একসঙ্গে মিলে এগিয়ে যাই’।
এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মতামত প্রতিফলিত হলো।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ‘এ হচ্ছে ওই দিনে এবং তারপর থেকে প্রতিদিনই যারা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বপ্রথম এগিয়ে গিয়েছিল, তাদের সাহসিকতার প্রতি সম্মান জানানোর সময় । এবং আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্য নারী পুরুষ, যারা আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য কাজ করেছেন এবং আত্মত্যাগ করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানানোর এক সুযোগ ’।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, সেপ্টেম্বরের সেই নির্মল এবং ভয়ংকর সকালে আমেরিকায় নানা প্রশ্নের দেখা দেয় । ‘সেই হামলা কোথা থেকে চালানো হলো? আমেরিকা কিভাবে তার জবাব দেবে? আমরা যে দেশটিকে ভালবাসি তা কি দূর্বল করে দেবে? আমাদের পরিচয় কি পরিবর্তন করে দেবে’?
মিঃ ওবামা বলেন, গত এক দশকের কঠিন সময়কালে আমেরিকা ওইসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছে এবং জাতি হিসেবে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আল কায়দার সঙ্গে যুদ্ধ করেছি, এবং তাদের নেতৃত্ব ভেঙ্গে দিয়েছি, তাদেরকে পরাস্ত করেছি। এবং আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ, ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীদের দক্ষতা ও সাহসিকতাকে সাধুবাদ জানাতে হয় যে তাদের জন্যই ওসামা বিন লাদেন আর কখনোই আমেরিকার জন্য হুমকীর সৃষ্টি করতে পারবে না’।
মিঃ ওবামা বলেন, ‘আমেরিকানরা একটা অবিশ্বাস আর সন্দেহের ধারণাকে রোধ করেছে এবং এ কথা উপলব্ধি করেছে যে, আমরা - আল কায়দা তার মিত্রদের সঙ্গে লড়াই করেছি’ ।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইসলাম অথবা কোন ধর্মের সঙ্গে আমাদের কখনো কোনই যুদ্ধ নেই। আমরা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র । আমাদের স্বাধীনতা ও বৈচিত্র্য আমাদেরকে অনন্য করে তুলেছে এবং সেটাই আমাদের জাতীয় পরিচিয়’।
মিঃ ওবামা বলেন, ওই হামলার ফলে আমেরিকার জনগনের সর্বোত্তম গুনাবলী প্রকাশ পেয়েছে, ওই সময় থেকে ৫০ লক্ষেরও বেশী আমেরিকান নাগরিক সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে, আমেরিকা ইরাকে যুদ্ধ শেষ করেছে এবং আফগানিস্তানে তালেবান শাসকগোষ্ঠির অবসান করেছে । মিঃ ওবামা বলেন, ‘আমরা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং নতুন আফগান সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছি। এবং সবশেষে আমরা দুঃখে ভেঙ্গে না পড়ে, মানুষ হিসেবে আমাদের পরিচয় তুলে ধরে, আমাদের মূল্যবোধ পুনরব্যক্ত করেছি, সমাজকে তাদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দিয়েছি’।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, নয়-এগারোর ১১ বছর পর, তার শিক্ষা হচ্ছে এই যে, ‘আমরা দৃঢ় আস্থার সঙ্গে বলতে পারি – কোন বৈরিতা এবং কোন সন্ত্রাসী তত্পরতা আমাদের পরিচিতি পরিবর্তন করতে পারে না । এই বিশেষ বার্ষিকীতে আসুন আমরা যাদের হারিয়েছি তাদেরকে স্মরণ করি, আসুন তারা যে সকল মূল্যবোধের জন্য রুখে দাঁড়িয়েছিল সে কথা স্মরণ করি এবং চলুন, আমরা একটি জাতি হিসেবে – একসঙ্গে মিলে এগিয়ে যাই’।
এই সম্পাদকীয়তে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মতামত প্রতিফলিত হলো।