অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পোষাক শিল্পের শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কর্ম-পরিবেশ বৃদ্ধির আহবান


পোষাক শিল্পের শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কর্ম-পরিবেশ বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ খাতকে আরো সমৃদ্ধ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করলেন ওয়াশিংটন ডিসিতে এ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় বক্তারা। পুলিৎজার সেন্টার আয়োজিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন সেলিম হোসেন। শোনা যাক তার কাছে:


রানা প্লাজা ও তাজরিন গার্মেন্টসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানী খাত তৈরী পোষাক শিল্প সাম্প্রতিক সময়ে খানিকটা দু:সময়ের মুখোমুখি হলেও, কারখানার নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। আর তা করতে পারলে চীন বা ভিয়েতনামের মতোই বাংলাদেশর তৈরী পোষাক খাতও সমৃদ্ধ করবে দেশকে। বললেন পুলিৎজার সেন্টারের আয়োজনে বাংলাদেশে শ্রমিক নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা সভার অন্যতম প্রধান বক্তা সমাজবিজ্ঞানী, পপুলেশন কাউন্সিলের প্রধান সাজেদা আমীন।

বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের নিয়ে সিরিজ প্রতিবেদন করেছেন, পুলিৎজার পুরস্কার প্রাপ্ত লস এঞ্জেলেস টাইমসের সাংবাদিক কেন ওয়েইস। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর তিনি বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের ওপর প্রতিবেদন করেন। মুক্তা নামের এক নারী শ্রমিক এবং তার কয়েকজন সহকর্মীর কাজের স্থান, কর্মঘন্টা, বসবাসের পরিবেশসহ ও মানবেতর জীবন যাপনের অভিজ্ঘতা তুলে ধরে কেন বলেন, মুক্তা একটা উদাহরণ মাত্র। এমন শত সহস্র মুক্তা বাংলাদেশে অমানবিক অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছে। সাজেদা আমীনের মতোই তিনি বললেন কর্ম পরিবেশ ও শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই এই খাতের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যায়।

“তিনি বলেন আমি মনে করি নিরাপদ পরিবেশে কাজ করার নিশ্চয়তা পাওয়া, সকল শ্রমিককের মৌলিক অধিকার এবং সেটি মানবাধিকারেরও মূল ভিত্তি, আর তা শ্রমিক অধিকারেরও ভিত্তি হওয়া উচিৎ”।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে জিএসপি বাতিল করায় পোষাক খাতে কোন প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নে সাজেদা আমীন বলেন এখনো পর্যন্ত পড়েনি। আর অন্য যেসব পন্যে তা পড়ার কথা তাও এখন ইউরোপসহ বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী করছে বাংলাদেশ।
এ্যাক্ট: ৩ সাজেদা

২৪শে এপ্রিল রানা প্লাজা ধ্বসের পর বাংলাদেশে সরেজমিন প্রতিবেদন করতে গিয়ে নিজের চোখে দেখা মানুষের দু:সহ অবস্থা, ধ্বংসাবশেষে উদ্ধার কাজ, মৃত ও নিখোজ শ্রমিকদের স্বজনদের হৃদয়বিদারক আহাজারী, ইত্যাদির বর্ণনা দেয়ার পর, টাইমসের সাংবাদিক জেসন মোতলাফ বলেন, এ্যাতোকিছুর পরও বাংলাদেশের পোষাক খাতের ভবিষ্যৎ উজ্জল। শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে তা আরো ভালৈা হবে।

“তিনি বলেন দেশটির পোষাক খাতের ভবিষ্যৎ উজ্জল। কারন এখানে রয়েছে বিপুল মানব সম্পদ। অবকাটামো উন্নত করলে পশ্চিমা ক্রেতারা আরো উৎসাহী হবে বাংলাদেশের প্রতি। শ্রসিমক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও তাদের কর্মপরিবেশ উন্নত করতে হবে। শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে হবে। এসব করলে আশা করি এই ভাতের ভবিষ্যৎ খুবই ভালো।

সাজেদা আমীন বলেন বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত পোষাক খাতে কাজ পাওয়া সহজ হওয়ায় নারী শ্রমিকরা পোষাক খাতের প্রতিই বেশী ঝোকে। তবে নারীদেরকে কাজে লাগাতে ইলেক্ট্রনিক্স, আইসিটি সহ নানা খাতে সরকার ও বেসরকারী পর্যায়ে উদ্যোগ নেয়া উচিৎ। এছাড়া নোরীদের তেনা বাড়ানো, কর্ম পরিবেশ, ও কারখানা নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ নানা পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশের শ্রমিক নিরপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব এমন প্রশ্নে সাজেদা আমীন শুশীল সমাজের ভুমিকা বৃদ্ধি এবং প্রচলিত সেফটি আইনের প্রয়োগ নিশ্চিতকরণসহ বেশকিছু পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পোষাক কারখানা, নারী অধিকার, নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেন সেখানে আগত অতিথিরা।
XS
SM
MD
LG