অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে আশাব্যাঞ্জকহারে কমেছে মা ও শিশু মত্যুর হার।


Mother & Child Bangla
Mother & Child Bangla

বাংলাদেশে আশাব্যাঞ্জকহারে কমেছে মা ও শিশু মত্যুর হার

প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ অপুষ্ট শিশুর জন্ম হয়। আর এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, এদেশের ৬৫ ভাগ মা’ই শিশু বয়সেই সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন। তাই মায়ের অপ্রস্তুত শরীরে স্বাস্থ্যবান শিশুর জন্ম হয় না। আর শিশু মায়ের বাচ্চাটিও বেড়ে ওঠে গতিহীনভাবে। তাছাড়া বর্তমানে ৩৭ ভাগ খর্বাকৃত্তির বাচ্চাদের নিয়ে শুধু মা’ই নন পুরো সংসার ভোগেন অশান্তিতে। তবে আশার কথা হচ্ছে ইউএসআআইডি’র তথ্য মতে কী গ্রামাঞ্চল কী শহর এখন অনেক মা’ বা পরিবার হাসপাতালে নিরাপদে বাচ্চা ভুমিষ্টের জন্য দারুণভাবে সচেতন। তাছাড়া ২০০১ সালে শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে প্রতি লাখে ৩২২ জন মা মারা যেতেন। আর ২০১০ সালে এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৯৪ জনে। চলতি বছর এসংখ্যা লাখে ১৬৫ থেকে ১৭০ জনে নেমে আসবে বলে সংশিলষ্ট মহল ধারণা করছে।

নয় সেপ্টেম্বর সকাল নয়টা থেকে দিনব্যাপি “মা ও শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক সাংবাদিকদের এক কর্মশালায় এসব তথ্য উঠে আসে। যশোর শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ইউ.এস.এ.আই.ডি, ভয়েস অব আমেরিকা ও রেডিও টুডে যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালার অংশগ্রহন করেন যশোর শহরে কর্মরত ৩০ জন সাংবাদিক। এতে সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার। এছাড়া মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিনড়ব বিষয়ে কথা বলেন, কর্মশালার প্রশিক্ষক সেভ দ্যা চিলড্রেন’র স্বাস্থ্য ও পুষ্টি প্রকল্পের পরিচালক ডঃ ইশতিয়াক মানড়বান, জামিল আহমেদ, এনএইচডিপি বাংলাদেশের চীফ অব পার্টি ডঃ হালিদা এইচ আক্তার। কর্মশালার মা ও শিশু মৃত্যুর কারণ, রোধসহ বিভিনড়ব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সময় জানানো হয়, একসময় সব বাচ্চারই জন্ম হতো বাড়িতে দাইয়ের কাছে। যাদের হাতে অসংখ্য মা ও শিশুর মৃত্যু হতো। কারণ ধাত্রীবিদ্যা সম্পর্কে তাদের জ্ঞান ছিলনা বললেই চলে। দিন পালটে গেছে অনেক আগেই। তার প্রমাণ ২০০৪ সালে শতকরা ১৬ ভাগ বাচ্চার জন্ম হতো হাসপাতালে। আর বর্তমানে ৩৭ ভাগ শিশু হাসপাতালে নিরাপদে ভূমিষ্ট হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করে। এতে আশাব্যাঞ্জকহারে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে।

প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে দুপুরে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা ইউএসএইড এর অর্থায়নে পরিচালিত শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকায় অবস্থিত সূর্যের হাসি ক্লিনিক পরিদর্শণ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্য

চিকিৎসা বিষয়ে সরেজমিন জ্ঞানার্জণ করেন। সাংবাদিকদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরনের মধ্য দিয়ে কর্মশালার সমাপ্তি ঘটে।

প্রতিবেদনটি তৈরী করেছেন, VOA এবং USAID এর সাংবাদিক কর্মশালায় অংশগ্রহনকারীদের একজন রাহুল রায়।

XS
SM
MD
LG