ভারত থেকে প্রয়োজনীয় বিবিধ সামগ্রী নিয়ে নেপালে ট্রাক ঢোকা বন্ধ রয়েছে গত কয়েক দিন ধরে। কেননা, ভারত-লাগোয়া দক্ষিণ নেপালে ও দেশের নতুন সংবিধান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে লোকজন।
নেপালে বহু মানুষেরই ধারণা, এই আন্দোলনে ভারতের সরাসরি ভূমিকা না থাকলেও মদেশিদের পেছনে নিশ্চয়ই মদত রয়েছে ভারতের। এই ধারণা থেকেই নেপাল জুড়ে ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অতীতে নেপালের মাওবাদীরা যখন সশস্ত্র আন্দোলন চালাচ্ছিল, পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো মন্তব্য করেছিলেন, নেপালও কি তাহলে আফগানিস্তানের মতই নৈরাজ্যের পথেই চলল? নেপাল এখনও তেমন নৈরাজ্যের অন্ধকারে ডুবে না গেলেও ও দেশের শতধা-বিভক্ত সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রেখে দেশ চালানো সহজ নয়। বহু জাতি-উপজাতিতে বিভক্ত নেপালী সমাজের নানান মতের সমন্বয় করা কঠিন। এই মুহূর্তের ভারত-বিরোধী মনোভাবের সুযোগে প্রভাব বাড়াচ্ছে চীন। নেপাল তাই ভারতীয় কূটনীতির পক্ষে এক কঠিন পরীক্ষা।