চলতি সপ্তাহটি ২৫শে মে থেকে ২৯শে মে এই সময়টি গুম হয়ে যাওয়ার ঘটনা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ হিসেবে পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে আজ আমরা কথা বলবো বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকারের’ সেক্রেটারী আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে। স্টুডিও থেকে তার সঙ্গে আলোচনা করছেন রোকেয়া হায়দার।
আপনারা অনেকেই জানেন অধিকার সংস্থার কর্মকর্তা আদিলুর রহমান খান তিনি ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রবার্ট এফ কেনেডী হিউম্যান রাইটস এওয়ার্ড পেয়েছেন। এখন তিনি সরাসরি টেলিফোনে আমাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন।
আদিলুর রহমান খান, জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, কোনধরণের আভাষ ইঙ্গিত ছাড়াই হঠাত্ করেই মানুষ গুম হয়ে যায়। অনেকে জীবিত অবস্থায় হয়তো ফিরে আসে কিন্তু তারা কোন কথাবার্তা কিছুই বলে না। কি হয়েছিল, কোথায় গিয়েছিল, কারা এবং কেন তাকে নিয়ে যাওয়া হয়, কোন কিছুই না। তো আজকাল বাংলাদেশের খবরাখবরে দেখা যায় এই ধরণের গুম হয়ে যাওয়ার ঘটনা বেড়ে চলেছে। তার কারণ কি?
সাধারণ পর্যায়ে শিশু-কিশোর-নারী-পুরুষকে অপহরণ করে পাচার করার ঘটনা বা খুন করা ফৌজদারী বিধি অনুযায়ী অপহরণের বা খুনের আওতায় পড়ে। এবং ফৌজদারী আইনের অধীনে তার বিচার করা যায়। সামাজিক নিরাপত্তার অভাব দেখা দিলে এইসব ঘটনা ঘটে। এই ফৌজদারী বিধান এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক গুম হয়ে যাওয়ার স্বীকৃতির মধ্যে পার্থক্য কি? অনেকের কাছে সেটা খুব স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে বলবেন কি?