অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নির্বাচন নিয়ে রোকেয়া হায়দার কথা বলেছেন হেরিটেজ ফাউণ্ডেশনের লিসা কার্টিসের সঙ্গে


The Heritage Foundation
The Heritage Foundation
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে দেশে বিদেশে অনেক আলোচনা চলছে। অনেকের মতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বয়কটের কারণে এই নির্বাচন একতরফা হবে এবং এতে জনগণের প্রকৃত ইচ্ছার প্রতিফলন দেখা যাবে না।

নির্বাচন নিয়ে রোকেয়া হায়দার কথা বলেছেন ওয়াশিংটনে হেরিটেজ ফাউণ্ডেশনে সিনিয়ার রিসার্চ ফেলো লিসা কার্টিসের সঙ্গে। আসুন শোনা যাক:
please wait

No media source currently available

0:00 0:04:26 0:00
সরাসরি লিংক


রবিবার বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের নির্বাচন। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বে ১৮দলীয় জোট এতে অংশ নিচ্ছে না। ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই জয়ী হয়েছেন। এই নির্বাচন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষকরাও আলোচনা করছেন। হেরিটেজ ফাউণ্ডেশনের এশিয়া স্টাডিজ বিভাগের সিনিয়ার ফেলো লিসা কার্টিজ কি মনে করেন, এই প্রশ্নের জবাবে লিসার মন্তব্য ছিল – ‘আমি মনে করি এ হচ্ছে অত্যন্ত অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। দেখুন,নির্বাচন হচ্ছে কিন্তু প্রধান বিরোধী দল তাদের শরীক দল কেউই অংশ নিচ্ছে না। ই ইউ, যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে খালেদা জিয়া প্রায় গৃহ অন্তরীণ অবস্থায় রয়েছেন। তাই আমি মনে করি আন্তর্জাতিক সমাজ এই নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করবে না। হানাহানির আশংকায় ভোটাররা হয়তো ভোট দিতে যাবে না। এবং অনেক বাংলাদেশীই একে সুষ্ঠু নির্বাচন বলেও বিবেচনা করবে না। তবে তাদের কোন বিকল্প নেই। মুলতঃ ক্ষমতাসীন দলই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অর্ধেক আসনে জয়ী হয়েছে’। লিসা বললেন, ‘এ হচ্ছে সমস্যাসংকুল নির্বাচন। দূর্ভাগ্যজনক হলেও, হয়তো আরও হানাহানির সূত্রপাত ঘটবে। দেশের স্বার্থের জন্য অনুকুল হতো যদি শেখ হাসিনা নির্বাচন স্থগিত রাখতেন। কিন্তু এখন তো আর তা হবে না।
এরপরেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কি ভুমিকা পালন করতে পারে? এ প্রশ্নের জবাবে লিসা বলেন, ‘আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রের আরও স্পষ্টভাবে শেখ হাসিনার কাছে এ কথা তুলে ধরা উচিত ছিল যে, বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়া এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু বলে গ্রহণ করা হবে না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তেমন জির দিয়ে কিছু বলেনি। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই দুই দলের প্রতি সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে। তবে শেখ হাসিনার কাছে জোর করে কিছু তুলে ধরেনি। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে তো চাপ দিতে পারে না’।
XS
SM
MD
LG