রবিন উইলিয়ামস – হলিউড চিত্র জগতের প্রানোচ্ছল এক অভিনেতা। ৬৩ বছর বয়সে আত্মহত্যা করলেন। ভাবতেই অবাক লাগে। তবে তার ব্যক্তিগত জীবনের বিষণ্ণতা যে তার স্বাভাবিক জীবনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল, অনেকের কাছেই তা হয়তো অজানা ছিল।
রবিন উইলিয়ামস ও তার জীবনধারা নিয়ে একটি প্রতিবেদন। শোনাচ্ছেন রোকেয়া হায়দার।
রবিন উইলিয়ামস হাসি আনন্দে ভরা মানুষ। দারুণ অভিনয় করেন। ধনী ব্যক্তি। সুখের জীবন। তাকে ছায়াছবিতে অথবা কোন অনুষ্ঠানে দেখলে সেটাই মনে হতো। ১৯৯৮ সালে অস্কার পুরস্কার জিতেছিলেন রবিন উইলিয়ামস, গুড উইল হান্টিং-এ অভিনয়ের জন্যে। তার জন্যে এই চরিত্রটি ছিল একটু ব্যতিক্রমধর্মী। মূলতঃ একজন কৌতুকাভিনেতা হলেও, তার এই চরিত্রটি সেরকম ছিল না। দক্ষ অভিনয়ের জন্য অস্কার পুরস্কার পেলেন আর কি চাই? তাই রবিন আত্মহত্যা করেছেন খবরটা যখন ছড়িয়ে পড়লো—কেউ যেন বিশ্বাসই করতে পারেনি। যখন এক বন্ধু মাইক রাভিতযাকে রবিন উইলিয়ামসের মৃত্যুর খবর দিলেন, তিনি প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি।
হলিউড বুলেভার্ডের স্টার ওয়াক অফ ফেমের যেখানে রবিন উইলিয়ামসের স্টার বা তারকাটি আছে, সেখানে, হাজার হাজার দর্শনার্থী এখন তাদের প্রিয় অভিনেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছে। ………..
রবিন উইলিয়ামসের এই দুঃখজনক ঘটনা সম্পর্কে আমরা কথা বলেছি ঢাকায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে জাতীয় ইনস্টিটিউটের প্রফেসার মোহিত কামালের সঙ্গে।তিনি বললেন, “বিষণ্ণতার একেবারে শেষ পরিণতি, করুণ পরিণতি হচ্ছে সুইসাইড। যখন বিষণ্ণতা হয়, তখন ব্রেনে একটা জৈব রাশায়নিক পদার্থের মাত্র অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। তখন মনের ভিতর থেকে প্রথমে সুইসাইডের ইচ্ছাটা আসে। তারপে সুইসাইডের প্ল্যানিংটা হয়, এবং তারপরে এ্যাকশনে যায়। WISH, PLANNING AND ACTION.……
সবশেষে বলতে হয় – শিল্পী বাইরে তার হাসির ছটায় সবাইকে মাত্ করেছেন তবে অন্তরে তার বেদনার রাশি নিয়ে চলে গেলেন। বিষণ্ণতার মাঝে হারিয়ে গেলেন রবিন উইলিয়ামস।