অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আসছে ‘সোশ্যাল রোবট’ যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে


বিশ্বের বহু শিল্প কারখানায়, এমনকি ঘর বাড়ীতে পর্যন্ত এখন কাজ করছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট। উদাহরণস্বরূপ স্মার্ট ভ্যাকিউম ক্লিনার্স। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অল্প কয়েক বছরের মধ্যে আমরা দেখতে পাবো ‘সোশ্যাল রোবট’, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।

সরাসরি লিংক

রোবট এখন গাড়ী তৈরী করতে পারে; সন্ধান দিতে পারে পানির নীচে কি আছে তারও।

তবে, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার চেয়ে ইনকামিং ম্যাসেজ গ্রহণ করা অনেক সহজ, বললেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’র গবেষক সিনথিয়া ব্রিজিল।

“সামাজিক রোবট এমনভাবে মানুষের সঙ্গে পরস্পর সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করে যাতে আপনার মনে হবে আপনি কোনো কিছুর সঙ্গে নয়, কারো সঙ্গেই কাজ করছেন। এবং সামাজিক রোবট এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে মনে হয় মানুষের সঙ্গে তার সমন্বয় অত্যন্ত নিবিড়”।

ওয়াশিংটনের কাছে নৌ গবেষণা ল্যাবরেটারীতে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন, কিভাবে রোবট, মানুষের সঙ্গে বসবাস করতে সমর্থ হতে পারে তা নিয়ে। গবেষক এ্যালান শুল্টজ বললেন সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে এই রোবটকে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।

“আপনি যদি রোবটের ওপর সবকিছু ছেড়ে দিতে চান, তাদেরকে আমাদের গতানুগতিক বিধি বিধান মানতে হবে, এবং আমরা যা আশা করি সেই ধরনের কাজ করতে তাদের হবে; যাতে আমরা দুশ্চিন্তুমুক্ত হয়ে থাকতে পারি এবং রোবট যে আমাদের আশেপাশে রয়েছে, আমাদের কাজকর্ম বাধা দিচ্ছে তা না ভাবতে হয়"।

এমন নয় যে, সামাজিক রোবটের মানুষের মত মুখ থাকতে হবে। ক্যালিফোর্নিয়ার সেভ্ভিয়োক রোবোটিকস ইন কিউপার্টিনো’র সিইও ষ্টিভ কাজিনস বললেন, হোটেলে ছোটখাটো জিনিসপত্র মানুষের মাঝে দেয়া নেয়ার কাজ দিয়ে ‘বাটলার’ নামে তাদের এক রোবটের পরীক্ষা চলছে।

“এটি ডিজাইন করা হয়েছে মানুষের মধ্যে থেকে, মানুষের সঙ্গে পারস্পারিক যোগাযোগ স্থাপন করার লক্ষ্য নিয়ে। এটি ফ্রন্ট ডেস্কের কর্মকর্তার কাছ থেকে জিনিসপত্র নিয়ে অন্যকে দিচ্ছে; এলিভেটরে মানুষের সঙ্গে ভাব বিনিময় করছে; এবং ভাব বিনিময় করছে মানুষের ঘরের দরজায় জিনিসপত্র বিনিময়কালে”।

এ পর্যন্ত সামাজিক রোবটের কাজের তালিকা খুব সীমিত; সহজ বার্তা আদান প্রদান বা পারিবারিক ছবি তোলা পর্যন্তই। তবে সিনথিয়া ব্রিজিল, যিনি এই রোবটটি ডিজাইন করেছেন, তাঁর মতে তাদের সামর্থ্য বাড়ানো যেতে পারে আরো অন্যান্য ক্ষেত্রে।

“শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা পরিবারের সঙ্গে সংযুক্ত রাখা, বিনোদোন, খেলাধুলা, অনলাইন সার্ভিসের মতো কাজেও তা ব্যাবহৃত হতে পারে”।

তবে, সমালোচকরা বলেন জানালা পরিস্কার করা বা রাতের খাবার রান্না করা জাতীয় কাজ, যার অনেক কিছুই এখন স্মার্ট ফোন করতে সমর্থ, এই সামাজিক রোবট যতোদিন তা না করতে পারবে, ততোদিন এর পেছনে অর্থ খরচ করার পক্ষে শক্ত যুক্তি খুঁজে পাবে না অনেকেই।

XS
SM
MD
LG