অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

খেলোয়াড়দের সম্পূর্ণ ত্রুটি মুক্ত রাখার জন্য সম্ভব সবকিছুই করা হবে: ওয়াডা


আন্তর্জাতিক দৌড়ঝাঁপ সমিতি, বিগত ২০০১ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বিভিন্ন অলিম্পিক ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানশীপে ১৪৬টি পদকজয়ী খেলোয়াড় কোন না কোনভাবে সন্দেহজনক রক্তপরীক্ষা সত্ত্বেও তাদের সঠিকভাবে যাচাই করা হয়নি বলে যে সব অভিযোগ তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এ সম্পর্কে বাংককে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ব্যুরো থেকে সংবাদদাতা স্টিভ হারম্যানের প্রতিবেদন আপনাদের শোনাচ্ছেন রোকেয়া হায়দার:

সরাসরি লিংক

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ মালয়েশিয়ার কুয়ালালুমপুরে আইওসির শীর্ষ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তার বক্তব্যে, খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে চারিদিকে এখন নিষিদ্ধ শক্তিদায়ক ওষুধ বা মাদক সেবনের যে সব অভিযোগ উঠছে সে বিষয়ে তার মতামত তুলে ধরেন।

টমাস বাখ বলেন, আপনারা ধৈর্য্য ধরুন, আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী বিশ্ব সংস্থা ওয়াডা যতদিন পর্যন্ত নিরপেক্ষভাবে পুরোপুরি সবকিছু তদন্ত অনুসন্ধান করে তাদের রিপোর্ট না দেয়, সে পর্যন্ত কোন খবরাখবর প্রচার করবেন না। তিনি বললেন, ‘আইওসি তার কোনকিছু বরদাশত্ না করার নীতি অনুসরন করবে এবং খেলোয়াড়দের সম্পূর্ণ ত্রুটি মুক্ত রাখার জন্য সম্ভব সবকিছুই করবে। তিনি বলেন, এখন বিষয়টি ওয়াডার হাতে। খেলোয়াড় এবং সরকারের সঙ্গে সবকিছুই তারা মোকাবেলা করবে এবং তাদের কার্যব্যবস্থার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে’।

ওয়াডার প্রধান ক্রেগ রিডি এই অভিযোগকে অলীক ও অযৌক্তিক বলে অভিহিরত করেছেন। তিনো বলেন, জার্মান সম্প্রচারে ও বৃটিশ পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এইসব খবর তার কথায়, ‘বিশ্বব্যাপী নির্মল খেলোয়াড়দের ভিত্তিতে আবার নতুন করে নাড়া দেবে’।

বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, তারা এই খবর প্রথম ফাঁস হওয়ার পর আগে বিভিন্ন সময়ে, আইএএএফ-এর যে পাঁচ হাজার খেলোয়াড়ের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১২ হাজার পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করেছে।

এর মধ্যে অন্ততঃ ৮শোর বেশী খেলোয়াড়ের রক্তপরীক্ষায় এক অথবা তার বেশী সময়ে কিছু অস্বাভাবিক ফলাফল পাওয়া গেছে। অবশ্য এই ফলাফলে বলা হয় – একশোবার পরীক্ষার মধ্যে মাত্র ১বারের পরীক্ষায় কিছু সমস্যা থাকতে পারে।

আন্তর্জাতিক দৌড়ঝাঁপ ফেডারশনের প্রেসিডেন্ট লামিন ডিয়াক আইওসির সদস্যদের বলেন, মাদক বা নিষিদ্ধ শক্তিদায়ক ওষুধ সেবনের এই সব অভিযোগের নেপথ্যে রয়েছে নতুন করে অন্য খেলোয়াড়দের পদক দেওয়ার এক অভিযান।

রাশিয়ার ক্রীড়াম্নত্রী ভিটালি মুটকোও বলেছেন এইসব অভিযোগের পিছনে নিশ্চয় অন্য কোন অভিসন্ধি আছে। রাশিয়ান খেলোয়াড়দের রক্তপরীক্ষার ফলাফলই সবচাইতে বেশী সন্দেহজনক। তারপরই অভিযোগ উঠছে ইউক্রেন, মরক্কো, স্পেন, কেনিয়া এবং তুরস্কের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে।

XS
SM
MD
LG