করোনা আতঙ্কে মুহ্যমান ভারতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সম্ভবত দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় তাবলীগি জামাতের মার্কাজে ধর্মীয় সমাগম। মার্চ মাসের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ, তিনদিনের ওই সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের নানা রাজ্যের কয়েক হাজার মানুষ ছাড়াও বহু বিদেশি এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাড়ি ফিরে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মার্চ মাসের মাঝামাঝি ওই সময়ে ভারতে লকডাউন ঘোষণা করা না হলেও সংক্রমণ এড়াতে ধর্মস্থানে অথবা সামাজিক অনুষ্ঠানে দুশোর বেশি লোকের জমায়েত বারণ ছিল। মার্কাজের উদ্যোক্তারা ওই নিষেধাজ্ঞা মানেননি। সম্মেলন শেষ হওয়ার পরেও অনেকে সেখানে রয়ে গিয়েছিলেন। তার এক সপ্তাহ পরে লকডাউন শুরু হয়। তখন তো আর কোথাও যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
সম্মেলনে যোগদানকারীদের কয়েক জনের পর পর মৃত্যুর খবরে প্রশাসনের টনক নড়ে এবং মার্কাজ থেকে লোকজনকে বের করে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়। দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিশোদিয়া আজ বুধবার জানান, ৩৬ ঘন্টার অক্লান্ত চেষ্টায় নিজামুদ্দিন মার্কাজ থেকে ২৩৬১ জনকে উদ্ধার করে আনা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬১৭ জনকে করোনার উপসর্গ সহ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে, বাকিদের পাঠানো হয়েছে কোয়ারান্টাইনে। দিল্লি প্রশাসন জানিয়েছে, নিজামুদ্দিনের সম্মেলনে যোগ দেওয়া ১৯টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের বাসিন্দা ১৮৩০ জনকে সনাক্ত করা গিয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন তামিলনাড়ুর, ৫১০ জন, তবে পশ্চিমবঙ্গ থেকেও ৭৩ জন গিয়েছিলেন।