আমরা নারীরা কেন এত ভয় পাই? কেন রুখে দাঁড়াতে পারিনা অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে? কোথায় আমরা আটকে আছি? কেন পারছিনা সাহস নিয়ে কথা বলতে? চার দেয়ালের ভেতরে যে যন্ত্রণা আমরা সহ্য করে যাচ্ছি দিনের পর দিন তা নিয়ে আমাদের কথা বলতে গলায় আটকাচ্ছে। এর কারণ...সমাজ! সমাজ আমাদের নারীদের এখনো সেই ক্ষমতা প্রকৃতপক্ষে দেয়নি! আমাদের সেই কণ্ঠ দেয়নি! আমরা এখনো কথা বলতে পারিনা!!সমাজের ভয়ে, ভবিষ্যতের ভয়ে আমরা দিনের পর দিন ঐ চার দেয়ালের ভেতরে কিছু মানুষ রুপী হিংস্র হায়েনার অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছি।
সমাজের ভেতর বসবাস আপনার আমার সবার, কিন্তু সেখানে আমরা সবাই মুখোশ পড়ে আছি। সন্তানের কথা ভেবে নিজেকে এক প্রকার বিসর্জন দেন নারীরা। তারা ভেবে দেখেন না যে অত্যাচার নির্যাতন চুপচাপ সহ্য করে যাচ্ছেন তা তারা যতই লুকাতে চান না কেন তাদের চেহারাতে তা স্পষ্ট বোঝা যায়। সন্তানেরা মায়ের কষ্ট-বেদনা সবচাইতে আগে বোঝে এবং এর অত্যন্ত বিরুপ প্রভাব পড়ে তাদের ওপর।
আজকের নারীকণ্ঠের বিষয় ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অথবা পারিবারিক সহিংসতা। কথা বলেছি ভুক্তভোগী কিছু নারীদের সঙ্গে। সেই আলাপচারিতার কিছু অংশ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আজকের পর্বে। অনেক নারী নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে অনেক তথ্য দিয়েছেন।
কথা বলেছি মানবাধিকার কর্মী কাজী ফোউযিয়ার সঙ্গে যিনি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকশো নারী বসবাস করছেন যারা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার।মুখ বুজে নানা কারণে নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ পুলিশে খবর দেয়ার পর তাদের সন্তান সহ ঠাই হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে। নানা সামাজিক সংস্থা এই নারীদের সাহায্য করছেন স্বাবলম্বী হতে।
কথা বলেছি বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট এলিনা খানের সঙ্গে। তার কাছে জানতে চেয়েছি প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন নারীরা নির্যাতনের শিকার। এর শেষ কোথায়? নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন রয়েছে কিন্তু এই আইনের প্রয়োগ করতে গেলেই নারীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে আরও চরমতম সহিংসতার। প্রাণ হারাতে হচ্ছে অত্যন্ত ভয়ঙ্করভাবে।
অনেকে বলছেন ইদানীং পুরুষরাও নির্যাতিত হচ্ছেন।কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? নারী পুরুষ নির্বিসেশেসবাই একযোগে যদি নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের কণ্ঠ জোরদার করি তাহলে কি সম্ভব নয় একটি সুন্দর শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তোলা?